মেয়েদের খুনে অভিযুক্ত নাইডু এবং পদ্মজা। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া।
অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার মাদানাপাল্লেতে ২ মেয়েকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতিকে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছতেই অদ্ভুত ব্যবহার করেছিলেন পদ্মজা এবং নাইডু। পুলিশ জানিয়ছে, তাঁদের শারীরিক পরীক্ষার সময় একাধিক অসংলগ্ন কথাবার্তা পদ্মজা বলেছেন। দেহ উদ্ধার করতে যাওয়ার সময় ওই দম্পতি দাবি করেছিলেন, ১ দিন সময় পেলেই মৃত মেয়েদের বাঁচিতে তুলতে পারবেন তাঁরা। উচ্চ ডিগ্রিধারী দুই পরিণত বয়স্কের কথাবার্তা শুনে পুলিশের আশঙ্কা, কোনও তান্ত্রিকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারেন তাঁরা।
২৪ জানুয়ারি, রবিবার পুলিশ যখন তাঁদের বাড়ি পৌঁছেছিল তখন পদ্মজা মেয়েদের দেহের পাশে নাচছিলেন। এবং চিৎকার করে বলছিলেন, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চিনে নয়। ভগবান কিছু খারাপ জিনিস দূর করবেন বলে তা বানিয়েছেন। পুলিশ আসার পর নাইডু সেখান থেকে সরে গেলেও পথ আটকে ছিলেন পদ্মজা। পুলিশকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘‘ঘাড় ভেঙে যাওয়ার পরও এক ঘণ্টা মেয়েরা বেঁচে ছিল। এতেই বোঝা যাচ্ছে, কাজ করছে।’’ পুলিশের রেকর্ডিং করা ভিডিয়োতে নাইডুকে বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁদের ছোট মেয়ে ভগবানের কাছ থেকে বার্তা পেয়েছিল ‘কলি যুগ’ শেষ হয়ে ‘সত্য যুগ’ আসছে।
গ্রেফতারের পর রুটিন মাফিক কোভিড পরীক্ষা করাতে গিয়েও এই আচরণ চালিয়ে গিয়েছেন পদ্মজা। পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। নিজেকে 'ভগবান শিব' বলে দাবি করেন। বলেন, তিনি করোনাভাইরাস হয়ে মানুষের রূপে বিরাজ করছেন। এ নিয়ে মাদানাপাল্লের ডেপুটি পুলিশ সুপার এ রবি বলেছেন, ‘‘অভিযুক্তদের শারিরিক পরীক্ষা করাতে পুলিশ এবং চিকিৎসকদের অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। ওই মহিলা নিজেকে ভগবান শিব বলে দাবি করেছেন।’’ পরীক্ষার পর তাঁদের স্থানীয় আদালতে পেশ করা হয়। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন ২ জনকেই চিকিৎসার জন্য তিরুপতির এসভিআরআর সরকারি হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy