প্রায় ৩ হাজার নতুন মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের নানা প্রান্তে প্রায় ৩ হাজার নতুন মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ, জানিয়েছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কোট্টু সত্যনারায়ণ। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মকে রক্ষা এবং ব্যাপক হারে প্রচারের উদ্দেশ্যে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় মন্দির নির্মাণ করা শুরু হয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির নির্দেশে মন্দির নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে অন্ধ্রের প্রশাসন।
অন্ধ্র সরকারের লক্ষ্য, রাজ্যের প্রতি জেলায় যেন অন্তত একটি করে হিন্দু দেবতার মন্দির থাকে, তা নিশ্চিত করা। মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানের শ্রী বানি ট্রাস্ট। প্রতিটি মন্দিরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩৩০টি মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে আরও ১ হাজার ৪৬৫টি মন্দির। সেই সঙ্গে কয়েক জন প্রশাসনিক কর্তার অনুরোধে আরও ২০০টি নতুন মন্দির নির্মাণে সায় দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া, পুরনো মন্দিরগুলি সংস্কারও করা হচ্ছে নতুন করে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই নির্মাণের কাজ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে।
উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতি ২৫টি মন্দিরের নির্মাণকাজ দেখাশোনার জন্য এক জন করে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার নিযুক্ত রয়েছেন। পুরনো মন্দির সংস্কার এবং মন্দিরে আচার অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারের সিজিএফ তহবিল থেকে মোট ২৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা ইতিমধ্যে কাজেও লাগানো হয়েছে। একই ভাবে, চলতি অর্থবছরে মন্দির প্রতি ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রায় ২৮ কোটির মধ্যে খরচ হয়ে গিয়েছে ১৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ছিল দেড় হাজার মন্দির। সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, মন্দিরের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy