Advertisement
২৪ মে ২০২৪

চা জনজাতির উন্নয়নে গুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা

চা-জনজাতির উন্নয়নে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। আজ তিনি জানান, চা বাগানগুলির ক্রীড়া প্রতিভা ও সংস্কৃতি প্রতিভার বিকাশে রাজ্য সরকার দায়বদ্ধ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:২৯
Share: Save:

চা-জনজাতির উন্নয়নে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। আজ তিনি জানান, চা বাগানগুলির ক্রীড়া প্রতিভা ও সংস্কৃতি প্রতিভার বিকাশে রাজ্য সরকার দায়বদ্ধ। তাই বাগানগুলির নতুন প্রজন্মের প্রতিভাকে তুলে আনতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি দফতর হাত মিলিয়ে চা-জনজাতির জন্য কয়েকটি প্রকল্প আনছে। একই সঙ্গে তিনি চা-শ্রমিকদের জন্য সরকারি বিমা-প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেছেন।

গত কাল বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে চা-জনজাতি কল্যাণ দফতর ও শ্রম দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই তিনি জানান, রাজ্যে চা-জনজাতির খেলাধুলোর প্রতিভার দিকে লক্ষ্য রেখে বাগানকেন্দ্রীক এলাকাগুলিতে তৈরি করা হবে ৩টি ফুটবল ও তীরন্দাজির আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সোনোয়াল জানান, ওই কেন্দ্রগুলিতে তরুণ-তরুণীদের ক্রীড়া প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিকাশেও নজর দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চা-জনজাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক বৃত্তি ১৮৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হবে। ডিগ্রি পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক বৃত্তি ২৫৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাত হাজার করা হবে।

চা-গোষ্ঠীর দরিদ্র শ্রমিকরা চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে এলে সস্তায় থাকার জায়গা পান না। তাই গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের আশপাশেই সংশ্লিষ্ট রোগীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য তৈরি করা হবে একটি অতিথিশালা। সোনোয়াল জানান, চা বাগানের সকলের জন্য দু’লক্ষ টাকা করে বিমা করে দেবে রাজ্য সরকার। সরকারের তহবিল থেকেই দেওয়া হবে প্রিমিয়ামের টাকা।

চা বাগানের সংস্কৃতিতে রক্ষা করতে ও তুলে ধরতে রাজ্য পর্যায়ে একটি ঝুমুর কর্মশালা করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। ৩৯টি মহকুমায় বসবে ঝুমুর প্রশিক্ষণ শিবির। সেখান থেকে বাছাই করা হবে সেরাদের। বাগান এলাকাগুলি বাছাই করে তৈরি হবে আটটি মুক্তমঞ্চ। চা বাগানে সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিতে চা-জনজাতি কল্যাণ দফতরের তরফে প্রতি বছর বাগানের লেখকদের অন্তত পাঁচটি বই প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরের ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী পল্লবলোচন দাস জানান, রাজ্যে চা চাষের গুণগত ও পরিমাণগত মান তদারক করার জন্য রাজ্য সরকার চা বাগান ভিত্তিক প্ল্যান্টেশন ইনস্পেক্টরের পদ তৈরির সিদ্ধান্তও নিয়েছে। তাঁরা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গাছ রোপণ ও বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tea workers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE