প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ছবি- পিটিআই
ফের লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্যের শিকার হতে হল সদ্য রাজনীতিতে আসা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে। এ বার বিজেপি সাংসদ হরিশ দ্বিবেদী বললেন, ‘‘রাহুল ব্যর্থ হয়েছেন। প্রিয়ঙ্কাও ব্যর্থ হবেন। প্রিয়ঙ্কা দিল্লিতে থাকলে জিন্স আর টপ পরে থাকেন আর তাঁর নির্বাচন কেন্দ্রে গেলে শাড়ি, সিঁদুর পরেন।’’
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য ধেয়ে এসেছে প্রিয়ঙ্কার দিকে। তাঁর সৌন্দর্য, তাঁর রাজনৈতিক জ্ঞান, তাঁর মা ও বাবার বংশপরিচয়, তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা, সব কিছু নিয়েই বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের রসালো মন্তব্য করা হয়েছে প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে।
কয়েক দিন আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিহারের মন্ত্রী বিজেপি নেতা বিনোদ নারায়ণ ঝা বলেছিলেন, ‘‘উনি (প্রিয়ঙ্কা) খুব সুন্দর। কিন্তু তা ছাড়া ওঁর কোনও রাজনৈতিক কৃতিত্ব বা প্রতিভা নেই।’’ প্রিয়ঙ্কাকে যে তাঁর পছন্দ নয়, সে কথা দিনকয়েক আগে স্পষ্টই বলেছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে (প্রিয়ঙ্কা) দেখলেই আমার ইন্দিরা গাঁধীর কথা মনে পড়ে যায়।’’ বছরদু’য়েক আগে বিজেপি সাংসদ বিনয় কাটিহারও রসালো মন্তব্য করেছিলেন প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে।
প্রবীণ বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও তাঁকে ‘কংগ্রেসের চকোলেট মুখ’ বলেন, দিনকয়েক আগে। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস নেতাদের একাংশের দাবি, ভোপাল লোকসভা আসনে দাঁড় করানো হোক করিনা কপূরকে। কেউ কেউ সলমন খানকে ইনদওরে কংগ্রেসের প্রার্থী করতে চান। প্রিয়ঙ্কাকেও একই কারণে রাজনীতিতে আনা হল, লোকসভা ভোটের আগে।’’
আরও পড়ুন- তিন দিনে ২৩ ঘণ্টা, বঢরার জেরা চলবে
আরও পড়ুন- রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কা, কী বলছে দেশ? সামনে এবিপি নিউজ- সিভোটার জনমত সমীক্ষা
ও দিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে কংগ্রেসের মহিলা সেলের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy