গত বারের অভিযানে ভূমিকম্প, তুষার ধসে কোনওমতে প্রাণ নিয়ে পালাতে পেরেছিলেন। এ বার দলাই লামার আশীর্বাদ নিয়ে ফের এভারেস্ট অভিযানে পা বাড়িয়েছিলেন ৩৭ বছরের আনসু জানসেমপা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ নজির গড়ে চতুর্থ বার এভারেস্ট জয় করলেন দুই সন্তানের মা আনসু। সঙ্গে ছিলেন ফুরি শেরপা। কোনও ভারতীয় মহিলার এমন কৃতিত্ব এই প্রথম।
আরও পড়ুন, সময়ের ছ’দিন আগে আন্দামানে ঢুকে পড়ল বর্ষা
সেখানেও থামছেন না আনসু। বেস ক্যাম্পে নেমে এসে ফের এভারেস্ট চড়া শুরু করবেন তিনি। এ বারের ‘ডবল অ্যাসেন্ড’ সফল হলে তাঁর রেকর্ডের মুকুটে আরও পালক জুড়বে। ২০১১ সালে প্রথম অভিযানেই এক যাত্রায় দু'বার এভারেস্ট চড়া প্রথম মহিলা হিসেবে নজির গড়েন আদতে অসমের মেয়ে আনসু। এখনও পর্যন্ত মহিলাদের বিশ্বে সবচেয়ে বেশি, ৬ বার এভারেস্ট জয় করেছেন অধুনা কনেকটিকাট নিবাসিনী লাকপা শেরপা।
গোহপুরের ইন্দো তিব্বত সীমান্ত পুলিশের জওয়ানের কন্যা দীপা কলিতা বিয়ের পরে নাম বদল করেন। বর্তমানে অরুণাচলের বমডিলায় থাকা আনসু ২০১৩ সালে তৃতীয় বার এভারেস্ট জয় করেন। পরের বছর অভিযানের সময় দুর্যোগ, ভূমিকম্পের জেরে অনেক পর্বতারোহী মারা যান। আনসুর স্বামী সিদ্ধান্ত নেন, স্ত্রীকে ওই বিপদে আর যেতে দেবেন না। কিন্তু পাহাড়ের টানের কাছে হার মানে পরিবারের জেদ।
দলাই লামার হাত থেকে ফ্ল্যাগ অফ। ওই ভারতীয় পতাকাই আজ সকালে এভারেস্টের মাথায় ওড়ালেন আনসু।
২ এপ্রিল, গুয়াহাটিতে আনসুর অভিযান ফ্ল্যাগ অফ করেন দলাই লামা। ৪ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত ১,২,৩ ও ৪ নম্বর বেস ক্যাম্পে কাটানোর পরে ১৩ মে রাত পৌনে ২টো নাগাদ আনসু ও ফুকি শেরপা চূড়ান্ত আরোহণের জন্য পা বাড়ান। স্বামী সেরিং ওয়াঙ্গে জানান, এভারেস্ট জয়ের পরে আনসু স্যাটেলাইট ফোনে খবর পাঠিয়েছেন তিনি সুস্থ আছেন ও ফের শীর্ষে আরোহণের চেষ্টা চালাবেন। তাঁর এ বারের অভিযানে সাহায্য করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক, উত্তর-পূর্ব পরিষদ, নুমালিগড় শোধনাগার, অরুণাচল সরকার।