Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

গ্রেফতার শরজিল, সুর চড়া বিজেপির

শরজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে অসম-সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার ডাক দিয়েছিলেন।

ধৃত শরজিল ইমাম। মঙ্গলবার বিহারের জহানাবাদে। ছবি: পিটিআই।

ধৃত শরজিল ইমাম। মঙ্গলবার বিহারের জহানাবাদে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:১৫
Share: Save:

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত জেএনইউ-এর গবেষক-ছাত্র ও শাহিন বাগ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শরজিল ইমামকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। বিহারের জহানাবাদে নিজের গ্রাম কাকো থেকে আজ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দিল্লি ভোটের মুখে জেএনইউয়ের ওই পড়ুয়ার গ্রেফতার থেকে ফায়দা তুলতে নেমেছে বিজেপি। শরজিলের সঙ্গে শাহিন বাগকে জুড়ে মেরুকরণ আরও জোরদার করতে চাইছে তারা।

শরজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে অসম-সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার ডাক দিয়েছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির পাশাপাশি, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের হয় মণিপুর, অসম, উত্তরপ্রদেশ ও অরুণাচলে। আজ সকালে তাঁর ভাই মুজ্জামিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। সূত্রের দাবি, তাঁর কাছ থেকেই শরজিলের হদিশ মেলে। গ্রেফতারের পর শরজিলকে জহানাবাদ আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।

অমিত শাহ আজ বলেন, ‘‘শরজিলের ওই ভিডিয়ো আপনারা দেখেছেন? কানহাইয়া কুমারের বক্তব্যের চেয়েও ভয়ঙ্কর।’’ ভোটের আবহে এই গ্রেফতারি নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা শুরু করতে হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সম্মতি প্রয়োজন। আপ সরকার সেই অনুমতি দেয়নি। তাই বিজেপির প্রশ্ন, কানহাইয়ার মতো শরজিলের ক্ষেত্রেও কি তদন্তে বাধা দেবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী? আপ শাহিন বাগের পাশে দাঁড়ানোয় এমনিতেই সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরীবাল এ বার শরজিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার সম্মতি না-দিলে প্রচার আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে যাবে তারা।

আরও পড়ুন: এনসিসি মঞ্চে ভোটের প্রচার শুরু মোদীর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CAA Sharjeel Imam Sedition Shaheen Bagh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE