মথুরাপুর এলাকায় এভাবেই একের পর এক বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হল দিল্লির রাস্তায়। ছবি: পিটিআই
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ ছড়াল রাজধানীতেও। পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নিলদিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি। রবিবারবিকেলে একের পর এক বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, ধস্তাধস্তির সময় দু’পক্ষেরই কয়েকজন জখম হয়েছেন। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দিকে। যদিও তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনার জেরেদিল্লির পাঁচটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল ১০০-২০০ মানুষ জমায়েত করতে চলেছে। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু হতেই দেখা যায় এক হাজারের বেশি লোক তাতে সামিল হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা একের পর এক বাসে আগুন লাগিয়ে দিতে থাকেন। অবাধে ভাঙচুর চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। অভিযোগ দু’টি ইঞ্জিনেও ভাঙচুর করা হয়। আহত হয়েছেন দুই দমকল কর্মী।
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তরফ থেকে অবশ্য সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, হিংসাত্মক আন্দোলনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, স্থানীয় বহু মানুষ তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে যোগ দেন। বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের বিক্ষোভকে শান্তিপূর্ণ ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার। পুলিশ এদিন মহিলাদের ওপর নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করে।’’
রবিবার অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত হয় দিল্লির যান চলাচলও।ব্যস্ত মথুরা রোড আটকে চলতে থাকে বিক্ষোভ প্রদর্শন। ফলে বদরপুর, আশ্রমচক এলাকার যানবাহনও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার থেকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরব জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবারও সংসদ যাত্রা শুরু হলে তাদের থামায় দিল্লি পুলিশ। তবে এদিন বিক্ষোভকারীরা পথে নামলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy