Advertisement
E-Paper

স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় সমুদ্রের নীচে নিয়ন্ত্রণ হারান, মুম্বইয়ের প্রযুক্তিবিদের প্রাণ বাঁচাল অ্যাপ্‌লের ঘড়ি!

২৬ বছর বয়সি ক্ষীতিজের স্কুবা ডাইভিংয়ের প্রতি ভালবাসা রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে তিনি সুযোগ পেলেই সমুদ্রের গভীরে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে আসেন। কিন্তু সম্প্রতি পদুচেরির সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে বিপদে পড়েন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:১৩
Apple watch saves life of Mumbai techie during scuba diving

অ্যাপ্‌লের ঘড়ি বাঁচিয়ে দিল মুম্বইয়ের প্রযুক্তিবিদকে। ছবি: সংগৃহীত।

সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে সম্প্রতি প্রাণ হারান গায়ক জ়ুবিন গার্গ, এমনই খবর শোনা গিয়েছিল। যদিও পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে নয়, সাঁতার কাটার সময় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে গায়কের। সেই শোরগোলের মধ্যেই মুম্বইয়ের প্রযুক্তিবিদ ক্ষীতিজ জ়োদাপের স্কুবা ডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে এল। তাঁর পরিণতিও জ়ুবিনের মতো হতে পারত। তবে তাঁর হাতে থাকা অ্যাপ্‌লের ঘড়ি প্রাণ বাঁচিয়ে দিল!

২৬ বছর বয়সি ক্ষীতিজের স্কুবা ডাইভিংয়ের প্রতি ভালবাসা রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে তিনি সুযোগ পেলেই সমুদ্রের গভীরে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে আসেন। কিন্তু সম্প্রতি পদুচেরির সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে বিপদে পড়েন তিনি। কী ঘটেছিল? কী ভাবে বেঁচে গেলেন, তা বলতে গিয়ে ক্ষীতিজের গলায় আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ছিল।

ক্ষীতিজ জানান, তিনি যখন স্কুবা ডাইভিং করছিলেন তখন সমুদ্র উত্তাল ছিল। জলের নীচে দৃশ্যমানতা কম (৫ থেকে ১০ মিটার) ছিল। তিনি যখন সমুদ্রের প্রায় ৩৬ মিটার গভীরে চলে যান তখন আচমকাই তাঁর কোমরের বেল্ট আলগা হয়ে যায়। স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় যে সব সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়, তা সবই আটকানো ছিল ওই বেল্টের সঙ্গেই। জলের তলায় প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

শেষ পর্যন্ত কব্জিতে বাঁধা অ্যাপ্‌লের ঘড়ি প্রাণ বাঁচিয়ে দেয় ক্ষীতিজের। জলের চাপ অনুভব করে বার বার ক্ষীতিজকে সতর্ক করতে থাকে ঘড়িটি। স্ক্রিনে সতর্কতা বার্তা ফুটে ওঠে। শুধু তা-ই নয়, ওই পরিস্থিতিতে তাঁর কী করা উচিত, তা-ও বলে দেয় ঘড়ি। তবে তত ক্ষণে জলের নীচে ক্ষীতিজ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আরও গভীরে চলে যেতে থাকেন তিনি। তা টের পায় হাতের ঘড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে ঘড়িতে ‘বিপদ সাইরেন’ বাজতে থাকে। ক্রমশ সেই সাইরেনের শব্দ বাড়তে থাকলে তা পৌঁছোয় ক্ষীতিজের সঙ্গে থাকা প্রশিক্ষকের কাছে। তৎক্ষণাৎ তিনি গিয়ে নিরাপদে ক্ষীতিজকে উপরে তুলে আনেন!

অনেক দিন ধরে অ্যাপ্‌লের ঘড়ি ব্যবহার করলেও, ক্ষীতিজ জানতেন না তাতে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘জলের নীচে কী হচ্ছে, কতটা বিপদে ছিলাম, তা বুঝে ওঠার আগেই আমার ঘড়িতে সতর্কতা বার্তা দেখাতে শুরু করে। প্রথমে আমি সেটা পাত্তা দিইনি। পরে ঘড়িতে জোরে শব্দ শুরু হয়। সেই শব্দই আমার প্রাণ বাঁচিয়ে দিল।’’

নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা তিনি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন। শুধু তা-ই নয়, অ্যাপ্‌লের সিইও টিম কুকের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তিনি। কুকও তার প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘‘অ্যাপ্‌লের ঘড়ির শব্দের কারণে প্রাণ বেঁচে যাওয়ায় আমি খুব খুশি।’’ নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ক্ষীতিজকে ধন্যবাদও জানান অ্যাপ্‌লের সিইও।

Scuba Diving Apple Watch
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy