তীব্র আক্রমণে তেজস্বী প্রসাদ। ছবি- পিটিটিআই
বিধানসভায় নীতীশ কুমারকে তীব্র আক্রমণে তেজস্বী প্রসাদ। প্রত্যাশিত ভাবেই শুক্রবার ঝড়ের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভার এই অধিবেশন। সভার কাজ শুরুর আগে বাইরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিহারের বৃহত্তম দল আরজেডির বিধায়করা। ব্যানারে-পোস্টারে-স্লোগানে নীতীশ কুমারকে ‘কুর্সি কুমার’ বলে কটাক্ষ করা চলছিল। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর সেই ঝড় পৌঁছে গেল ভিতরেও। বিরোধী দলনেতা হিসেবে ভাষণ দিতে গিয়ে ‘চাচা’ নীতীশকে ‘ভাতিজা’ তেজস্বীর প্রশ্ন— ‘‘আপনার লজ্জা করল না সুশীল মোদীজির পাশে বসতে?’’
আরও পড়ুন- এনডিএ-তে ফিরলেন নীতীশ, মোদী ভুললেন ডিএনএ-র সমস্যা
বুধবার পর্যন্ত বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তেজস্বীপ্রসাদ যাদব। কিন্তু সে দিন সন্ধ্যায় নীতীশ কুমার আচমকা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় মহাজোট সরকারের পতন ঘটে। রাতারাতি বিজেপির সঙ্গে নীতীশের দলের জোট হয়ে হয়ে যায়। রাত পোহাতেই ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির সুশীল মোদী। আর এই শপথের ২৪ ঘণ্টা আগেও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা তেজস্বী আজ বিধানসভায় ঢুকলেন বিরোধী দলনেতা হিসেবে। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতিটা আমূল বদলে গিয়েছে তাঁর জন্য।
গোটা পরিস্থিতির জন্য এ দিন বিধানসভায় নীতীশকেই দায়ী করেছেন তেজস্বী। আরজেডি বিধানসভার তথা মহাজোটের বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও গত ২০ মাসে কখনও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উপর কোনও বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করেনি বলে তেজস্বী দাবি করেছেন। কিন্তু নীতীশ কুমার সে সবের মর্যাদা না দিয়ে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন বলে তেজস্বীর তীক্ষ্ণ আক্রমণ। নীতীশ যদি তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলতেন, তা হলে তিনি ইস্তফা দিয়ে দিতেন। দাবি তেজস্বীর। কিন্তু নীতীশ তাঁকে তেমন কোনও নির্দেশ দেননি, আচমকা সরকার ভেঙে দিয়ে তিনি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলে তেজস্বী যাদবের অভিযোগ। তরুণ আরজেডি নেতার দাবি, ‘‘সব কিছুই পরিকল্পিত ছিল।’’
দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবেন না বলেই তিনি মহাজোট ছেড়েছেন, দাবি নীতীশের। নিজের ভাবমূর্তির সঙ্গে তিনি আপস করবেন না বলে বার্তা দিতে চেয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গে তেজস্বীর আক্রমণ, ‘‘ভাবমূর্তির কথাই যদি বলেন, তা হলে গোটা দেশ জানে নীতীশজির বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু।’’ বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, ‘‘কোন নীতি, কোন নৈতিকতার ভিত্তিতে নীতীশ এমনটা করলেন, সবাই জানতে চান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy