খরিফ মরসুমে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) মাত্র তিন শতাংশ বাড়ায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এক সুরে সরব হল বিরোধী শিবির, কৃষক সংগঠন। অভিযোগ, মোদী সরকার ধানের সহায়ক মূল্য প্রতি কুইন্টালে মাত্র ৬৯ টাকা বাড়িয়ে ২,৩০০ টাকা থেকে ২,৩৬৯ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চাষের সার্বিক খরচের উপরে কৃষকদের জন্য ৫০ শতাংশ মুনাফা রেখে দাম ঠিক হলে ওই মূল্য ৩,১৩৫ টাকা হওয়ার কথা। এর ফলে শুধু ধানের ক্ষেত্রেই কৃষকদের প্রতি কুইন্টালে ৭৬৬ টাকা লোকসান হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার থেকে ১৫ দিনের ‘বিকশিত কৃষি সঙ্কল্প অভিযান’ শুরু করেছে মোদী সরকার। খরিফ ফসল চাষে কৃষকদের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির প্রচার এর মূল লক্ষ্য। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় আজ বলেছেন, ‘‘বিকশিত ভারতের কথা বলার সময় শুধু জিডিপি-র মাপে ভারত কত নম্বরে রয়েছে, তা দেখলে চলবে না। চাষিদের আয় আট গুণ বাড়াতে হবে।’’ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, মোদী সরকার উপরাষ্ট্রপতির কথাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ‘‘এমএসপি নির্ধারণের সময় মোদী সরকার বাজারের ৬% মূল্যবৃদ্ধির কথাও মাথায় রাখেনি। তা হলেও অন্তত ধানের এমএসপি ২,৩৪৮ টাকা হত।’’ সর্বভারতীয় কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণনের অভিযোগ, মোদী সরকার দাবি করছে, চাষের খরচের উপরে ৫০ শতাংশ মুনাফা রেখে এমএসপি ঠিক হয়েছে। কিন্তু মোদী সরকার চাষের সমস্ত খরচ ধরছে না। গত ১১ বছর ধরে এই প্রতারণা করছে।
সুরজেওয়ালার আরও অভিযোগ, চাষিরা তখনই এমএসপি পাবেন, যখন সরকার ফসল কিনবে। কিন্তু ২০২৩-২৪-এ দেশে উৎপাদিত ধানের মাত্র ৫৬.৫%, মোট উৎপাদিত গমের মাত্র ২৩.২% সরকার কিনেছে। কৃষি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তার সুপারিশ করলেও প্রধানমন্ত্রী তা আবর্জনার ঝুড়িতে ফেলে দিয়েছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)