১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সেনার যে ব্যাটেলিয়ন যোগ দিয়েছিল, সেই ব্যাটেলিয়নকে আপাতত ত্রিপুরায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশে অশান্তি নিয়ে উদ্বেগের মাঝে জানালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। পাশাপাশি, বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য তিনি পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন।
১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের ল়়ড়াইয়ে শামিল হয়েছিল ভারত। ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল পাক বাহিনী। সেই যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল ভারতীয় সেনার পর্বত ডিভিশনের জওয়ানেরা। ২০তম পর্বত ডিভিশন ছাড়াও ভূমিকা ছিল অষ্টম, ষষ্ঠ এবং চতুর্থ পর্বত ডিভিশনের। ত্রিপুরায় কোন ডিভিশনকে আনা হয়েছে, তা খোলসা করেননি মানিক। তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে যা যা হচ্ছে এবং দিল্লির উপর তার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আমি বাস্তব রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। ভারতীয় সেনার যে ব্যাটেলিয়ন মুক্তি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল এবং ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল, সেই ব্যাটেলিয়ন এখন এ রাজ্যে রয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
যুদ্ধের জন্য বর্তমানে সীমান্তে জওয়ানদের শারীরিক উপস্থিতি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মনে করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকে বলছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা নেই। কিন্তু আজকাল যুদ্ধে ল়ড়ার জন্য শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন পড়ে না। শত্রুদের ধ্বংস করতে একটা ক্লিকই যথেষ্ট, যা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর-এর সময়।’’
গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার পর তিনি ভারতে চলে আসেন। তাঁর পদত্যাগের পর বাংলাদেশে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন মানিক। বলেছেন, ‘‘হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করার পর বাংলাদেশে যে মৌলবাদীরা সক্রিয় হয়ে উঠবে, তা জানা ছিল। হাজার হাজার মৌলবাদী, অপরাধী সে দেশের জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পূর্বপরিকল্পিত ছিল। ভারতের উত্থানের পক্ষে যারা ক্ষতিকর, এটা ছিল তাদের চক্রান্ত।’’