অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি বলে অতীতে একাধিকবার হুঙ্কার দিয়েছে ভারত। এ বার অপারেশন সিঁদুর-২ এর কথা শোনা গেল সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর গলায়। তিনি বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর-১ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আমাদের শক্তিশালী করেছে। যে অভিজ্ঞতা অপারেশন সিঁদুর-২-তে ব্যবহার করবে সেনা।’’ লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
লালকেল্লা হামলার দু’দিন পরে ওই বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে স্বীকার করে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কোন জঙ্গি গোষ্ঠী এবং জঙ্গি গোষ্ঠীর মদতদাতা কারা তা এখন সর্বসমক্ষে তুলে ধরা না হলেও তদন্ত যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতেপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হাত থাকার প্রমাণ উঠে আসছে। ফলে আগামী দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের পদক্ষেপের চাপ বাড়তে চলেছে। বিশেষ করে ভারত যখন দেশের মাটিতে হওয়া প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলাকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে দেখবে বলে নীতি ঘোষণা করেছে।
দশ দিন আগেই ভোপালে একটি সেনা অনুষ্ঠানে দ্বিবেদী জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান জঙ্গি মোকাবিলায় গতি না আনলে ভারত অপারেশন সিঁদুর দ্বিতীয় পর্বের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে ‘দিল্লি ডিফেন্স ডায়লগ’ সম্মেলনে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর-১ এর লড়াইআমাদের যা শিখিয়েছে, তা সিঁদুর ২.০ হোক বা তারপরে অন্য কোনও লড়াইয়ে, বৃহত্তর পরিসরে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমরা প্রস্তুত। অপারেশন সিঁদুরে ‘সিকিয়োর আর্মি মোবাইল ভারত সংস্করণ’ (সম্ভব) ব্যবহার করা হয়েছে। সিঁদুর ২.০-তে মোবাইল ব্যবস্থার আরও উন্নত সংস্করণ ব্যবহারের কথাভাবা হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)