Advertisement
E-Paper

পরীক্ষায় বসতে হল সব জামা-কাপড় খুলে!

পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হওয়ার পরেই তাঁদের জামা-প্যান্ট খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন কর্তৃপক্ষ। কোনও গাঁইগুঁইতেই কাজ হল না। শেষে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরেই পরীক্ষা দিলেন ১১০০ পরীক্ষার্থী। বিহারের মুজফ্‌ফরপুরে সেনাবাহিনীর একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এমন ভাবে পরীক্ষা নেওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৬ ১৪:১৭
এ ভাবেই পরীক্ষা দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

এ ভাবেই পরীক্ষা দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হওয়ার পরেই তাঁদের জামা-প্যান্ট খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন কর্তৃপক্ষ। কোনও গাঁইগুঁইতেই কাজ হল না। শেষে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরেই পরীক্ষা দিলেন ১১০০ পরীক্ষার্থী। বিহারের মুজফ্‌ফরপুরে সেনাবাহিনীর একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এমন ভাবে পরীক্ষা নেওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সংবাদমাধ্যমে এই ছবি দেখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

করণিক পদের জন্য বিহারে সম্প্রতি এক পরীক্ষার আয়োজন করে সেনাবাহিনী। প্রাথমিক ঝাড়াইবাছাইয়ের পর ১১০০ জনকে মনোনীত করা হয়। এর পর তাঁদের লিখিত পরীক্ষার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সেই পরীক্ষা দিতে এসেই এমন বিপত্তির মুখে পড়তে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। সেনাবাহিনীর তরফে যদিও এমন অদ্ভুত ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই সাফাই দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, যে ভাবে বিহারে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন, তা রুখতেই এই ব্যবস্থা। জামা-প্যান্টের ভেতরে তো বটেই কখনও কখনও অন্তর্বাসের মধ্যেও টুকলি ও মোবাইল নিয়ে তাঁরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। সেই কারচুপি ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন সেনা কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর
পোশাক খুলিয়ে টুকলির তল্লাশি, বিরক্ত হয়ে হাফপ্যান্ট-স্যান্ডো গেঞ্জি পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্র!

চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই খালি গায়ে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে পরীক্ষা দিতে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিলেন। ঠান্ডা আবহাওয়ার কথাও বলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কোনও অনুরোধেই কাজ হয়নি। বরং সেনার তরফে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, এ ভাবেই পরীক্ষা দিতে হবে। না হলে, পরীক্ষাকেন্দ্র ওই মাঠ থেকে তাঁদের বেরিয়ে যেতে হবে। এর পরে তাঁরা মাঠে বাবু হয়ে বসে উরুর উপর খাতা রেখেই ঘণ্টাখানেক ধরে পরীক্ষা দেন। সেনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিরেক্টর কর্নেল ভিএস গোধারা বলেন, ‘‘পোশাকের মধ্যে টুকলি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ এ রাজ্যে বহু বার উঠেছে। তাই প্রয়োজনীয় সব রকমের সতর্কতাই অবলম্বন করেছি আমরা।’’

তাই বলে অন্তর্বাস পরে পরীক্ষা? গোধারার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘শারীরিক পরীক্ষার সময় তো খালি গায়েই দৌড়ঝাঁপ, মাঠের পরীক্ষা দিতে হয়। এঁদেরও হবে। তা হলে আগে থেকে তা করায় আপত্তি কিসের?’’ আর আবহাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মোটেও ঠান্ডা আবহাওয়া ছিল না। খুব সুন্দর আবহাওয়াই ছিল ওই দিন।’’

Dress Code Bihar Army Exam MostReadStories
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy