ছবি: পিটিআই
ব্যক্তিপরিসরকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি প্রশ্ন তুললেন, ব্যক্তিপরিসরের অধিকারের যুক্তি দেখাতে গিয়ে স্বচ্ছতার বিষয়টি ঢাকা পড়ে যাবে না তো! জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে রাষ্ট্রের নজরদারি যে চালু থাকবে, তা গত কালই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। আর জেটলি টেনে আনলেন কোর্টের রায় ঘিরে অন্য একটি দিকের কথা।
আজ দিল্লিতে ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজনীতি’ শীর্ষক একটি আলোচনাচক্রে অরুণ জেটলি বলেন, স্বচ্ছতা আনার জন্য সরকার তথ্যের অধিকার আইন এনেছে। যাতে জনগণের সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত জানার অধিকার থাকে। করা হয়েছে নির্বাচনী সংস্কার। এখন নিজেদের পাশাপাশি স্ত্রীর সম্পত্তি কত তা জানাতে বাধ্য থাকেন নেতারা। একই ভাবে প্রতি বছর সম্পত্তির হিসেব দেন শীর্ষ আমলারা। জেটলির ব্যাখ্যা, শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের পরে কয়েকটি বিষয় সামনে উঠে আসছে। তা হল, ‘‘ব্যক্তিপরিসরের প্রসঙ্গ এসে স্বচ্ছতাকে ঢেকে দেবে না তো!’’ অর্থমন্ত্রীর মতে, ভবিষ্যতে যদি নেতা কিংবা আমলারা বলেন, নিজের সম্পত্তির হিসেব দিতে রাজি আছেন তাঁরা। কিন্তু ব্যক্তিপরিসরের দোহাই দিয়ে স্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে জানাবেন না— তা হলে জটিলতা বাড়বে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ব্যক্তি পরিসরের স্বাধীনতা মৌলিক অধিকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy