—ফাইল চিত্র।
‘উদ্দেশ্যহীন আন্দোলনে’ বাড়ির ছেলেকে খুইয়ে বিক্ষোভকারী এবং পুলিশ— উভয়কেই এখন দুষছে রিসো টারির পরিবার।
এক দিকে তারা বলছে, ক্ষতিপূরণের ২০ লক্ষ টাকা নয়। রিসোকে গুলি করেছিলেন যে পুলিশকর্মী, তাঁকে ৯ মার্চের মধ্যে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। নিশি জনজাতির আইন অনুযায়ী তার ‘বিচার’ হবে। টারির দাদা রিসো কিয়াগুং সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, তারা ২০ লক্ষ টাকা বা সরকারি চাকরি দাবি করেননি। টারির ‘হত্যাকারীকে’ সরকার যে হেতু সাজা দেয়নি, তাই নিসি নিয়ম মেনেই তাঁকে সাজা দেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে বন্ধ ও অবরোধের ডাক দেওয়া সংগঠনগুলিরও কড়া নিন্দা করে টারির পরিবার বলেছে, উদ্দেশ্যহীন, অবৈধ, নেতৃত্বহীন আন্দোলনের জেরেই প্রাণ গেল। আর এত ক্ষয়ক্ষতি হল।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পিআরসির প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলনের সময় বিক্ষোভের নামে একটি শপিং মলে লুটপাট চালানো হয়। সেখানকার ৩০০ জন কর্মী আপাতত কর্মহীন। কর্মীদের দাবি, শপিং মলে আর কোনও পণ্য, আসবাবপত্র বা কম্পিউটার অবশিষ্ট নেই। সব ঠিকঠাক করে তুলতে বিস্তর সময় লেগে যাবে। আর তত দিন স্বাভাবিক ভাবেই মলের কর্মীদের রোজগার অনিশ্চিত।
বিক্ষোভের জেরে তছনছ হয়ে গিয়েছে গোটা ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানা। একটা কোনও আসবাব অক্ষত নেই। পাশেই নবনির্মিত মহিলা থানা এবং দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে তা-ও। দমকলবাহিনী জানাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা সব কটি আগুন নেভানোর ও কুইক রেসপন্স গাড়ি ভেঙেচুরে ছাড়খার করেছে।
এখন কোথাও আগুন লাগলেও পাঠানোর মতো দমকলের গাড়ি পর্যন্ত মিলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy