Advertisement
E-Paper

দিল্লির পৌষমেলায় যেতে পারেন অরবিন্দ কেজরীবাল

পৌষ মাসে কলকাতা থেকে ঘুরে এসে এ বার দিল্লির পৌষমেলায় যেতে পারেন অরবিন্দ কেজরীবাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরেই এ বার তিনি দিল্লির বাঙালিদের পৌষমেলার অতিথি।

সুমনা কাঞ্জিলাল

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৬ ২১:৫৫
চলছে পৌষমেলা।

চলছে পৌষমেলা।

পৌষ মাসে কলকাতা থেকে ঘুরে এসে এ বার দিল্লির পৌষমেলায় যেতে পারেন অরবিন্দ কেজরীবাল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরেই এ বার তিনি দিল্লির বাঙালিদের পৌষমেলার অতিথি।

শীতের আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতিকে উপভোগ করার জন্য দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাঙালিদের জন্য নানা রকম বিনোদনের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে পৌষমেলা। আগে শুধু চিত্তরঞ্জন পার্কে পৌষমেলা আয়োজিত হত। ইদানিং দিল্লির পশ্চিম বিহার ও পার্শ্ববর্তী উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতেও বাঙালিরা পৌষমেলার আয়োজন করছেন।

চিত্তরঞ্জন পার্ক পৌষমেলার আয়োজন কমিটি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছেন, খুব জরুরি কোনও কাজ পড়ে না গেলে তিনি অবশ্যই পৌষমেলায় যোগ দিতে যাবেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াও পৌষমেলায় যাবেন।

চিত্তরঞ্জন পার্কের পৌষমেলা এ বার ৪২ বছরে পড়বে। শুরু হয়েছে শনিবার, ৯ জানুয়ারি থেকে। সিআর পার্ক বঙ্গীয় সমাজ আয়োজিত তিন দিনের এই মেলায় এ বার থাকছে নাচ, গান, কুইজ ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। থাকছে ছো, ওড়িশি ও কত্থকের মতো লোক ও শাস্ত্রীয় নৃত্য, বাউল ও আধুনিক সঙ্গীত অনুষ্ঠান, পথনাটিকা, মিষ্টি-আমিষ-নিরামিষ খাবারের পসরা নিয়ে খাদ্য উৎসব ইত্যাদি আয়োজনও।

নয়ডা কালীবাড়িতে আয়োজিত হচ্ছে অন্য একটি পৌষমেলা। এখানেও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হস্তশিল্পের স্টল, শীতের পিঠে-পুলি-পায়েস দিয়ে বাঙালির রসনাতৃপ্তির যাবতীয় আয়োজন। এই মেলার উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডা থেকে প্রচুর বাঙালি এই মেলার আনন্দ উপভোগ করতে আসেন।

পশ্চিম বিহারের নিবেদিতা এনক্লেভে বঙ্গীয় পরিষদ পশ্চিম বিহার আয়োজিত দু’দিনের পৌষমেলা হয়ে গেল সম্প্রতি। সেখানে এক দিকে যেমন ছিল নতুন গুড়ের মিষ্টির স্টল, তেমনই বসেছিল নানা রকম খাবারের স্টল, আর ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যার মধ্যে ময়ূর সিংহাসন নামে একটি যাত্রাপালাও অভিনীত হয়।

সব মিলিয়ে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার বাঙালিদের জন্য এই পৌষমেলাগুলি যে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতিকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে তাতে কোনও সংশয় নেই।

delhi poushmela arvind kejriwal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy