পরপর তিন বার!
হ্যাটট্রিকের পথে অরবিন্দ কেজরীবাল। অন্তত দিল্লির ৭০টি আসনে ভোটের শেষে সবক’টি বুথ-ফেরত সমীক্ষা জানিয়েছে, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের সরকার গড়তে চলেছে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। ২০১৩ সালে প্রথম বার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, গত বার একক গরিষ্ঠতা পাওয়ার পরে তৃতীয় বার ফের ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দিচ্ছেন কেজরীবাল। শেষবেলায় মেরুকরণের তাস খেলে মরণকামড় দিতে চেয়েও বিশেষ দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ বিজেপি। সমীক্ষা জানাচ্ছে, গত বারের মতোই রাজধানীতে আপের সামনে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাওয়ার পথে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। দিল্লি-সহ গোটা দেশ জুড়ে যখন নয়া নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে আম জনতা— তখন এই সমীক্ষার ফল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আপের এক নেতার কথায়, ‘‘হিন্দু-মুসলমান বিভেদের রাজনীতি, মেরুকরণ ছেড়ে মানুষ যে কেজরীবালের কাজকেই বেছে নিয়েছেন, সেটাই বড় পাওনা।’’
বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলে উৎসাহিত আপ শিবির। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া সন্ধ্যায় টুইট করে বলেন, ‘‘আমরা প্রচুর ব্যবধানে জিততে চলেছি। কর্মীদের পরিশ্রমকে ধন্যবাদ।’’ সবক’টি সমীক্ষার ফলই আপকে এগিয়ে রাখায় রীতিমতো উৎসাহের মেজাজ আপ দলীয় কার্যালয়ের সামনে। আপ নেতৃত্বের দাবি, বুথ-ফেরত সমীক্ষায় যে ফল এসেছে, তারচেয়েও বেশি আসন পাবে দল। আপাতত ইভিএম পাহারা নিয়ে সাবধানী কেজরীবালের দল স্ট্রংরুম পাহারায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবে। তবে এটা ঠিক, বুথ-ফেরত সমীক্ষার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সমীক্ষার পূর্বাভাস যেমন প্রকৃত ফলের সঙ্গে মেলার দৃষ্টান্ত রয়েছে, তেমনই বহু ক্ষেত্রে ফল মেলেওনি। তবে অনেকেরই মতে, বুথ-ফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে ভোটারদের মনোভাবের অনেকটাই হদিস পাওয়া যায়।