Advertisement
০২ মে ২০২৪
Arvind Kejriwal

শুক্রবারও কেজরীওয়াল যাচ্ছেন না ইডি দফতরে, এই নিয়ে পঞ্চম বার তলব এড়ালেন আপের প্রধান

আপের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক কারণে’ কাজ করছে ইডি। প্রধানমন্ত্রীকে দুষে বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “মোদী চান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করে দিল্লির সরকারকে ফেলে দিতে।”

Arvind Kejriwal to skip fifth summons of ED in Delhi Liquor Policy Case

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:২৬
Share: Save:

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও এক বার তাঁকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু শুক্রবারও ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এই নিয়ে পঞ্চম বারের জন্য ইডির সমন এড়ালেন কেজরীওয়াল। আপের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের আগে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যেই বার বার সমন পাঠানো হচ্ছে তাঁকে।

শুক্রবার আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কেজরীওয়ালকে। আপ সূত্রে খবর, এ দিন চণ্ডীগড় পুরনিগমের মেয়র নির্বাচনে ‘কারচুপি’র অভিযোগ তুলে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বিক্ষোভ দেখাবে তারা। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেজরীওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান।

আপের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক কারণে’ সম্পূর্ণ ‘অনৈতিক ভাবে’ কাজ করছে ইডি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দুষে ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “মোদী চান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করে দিল্লির সরকারকে ফেলে দিতে। আমরা এটা কিছুতেই হতে দেব না।”

এর আগে চার বার সমন পেয়েও যাননি কেজরীওয়াল। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রচারে থাকার কারণে প্রথম বার ইডির দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। এর পর কখনও অন্য কাজ থাকার কথা, কখনও ১০ দিনের উপাসনায় যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে সমন এড়িয়ে গিয়েছেন আপ প্রধান। তিনি এ-ও অভিযোগ করেন যে, তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ সমন পাঠানো হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা ‘কৌশল’ বলেও দাবি করেন তিনি। ইডির পদক্ষেপের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক প্ররোচনা’ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গত বছর এপ্রিলে এই মামলায় কেজরীওয়ালকে ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। যদিও এই মামলায় তিনি অভিযুক্ত নন। সে সময় কেজরীওয়াল বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই মোট ৫৬টি প্রশ্ন করেছে। সব কিছু ভুয়ো। ভুয়ো মামলা। আমি নিশ্চিত, আমাদের বিরুদ্ধে ওদের কোনও প্রমাণ নেই।’’ প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা মণীশ সিসৌদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ তিহাড়ে রয়েছেন। অভিযোগ, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দিচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি পরে খারিজ করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

AAP Delhi liquor policy case ED Arvind Kejriwal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE