দিল্লি সরকারের অংশিদারী সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে বাদ দিয়েই আগামিকাল মেট্রো রেলের নতুন পথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনায় ক্ষিপ্ত আম আদমি পার্টির সরকার এখন মেট্রো বাবদ দেওয়া টাকা ফেরত চাইছে মোদীর থেকে। তাঁর সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা।
বড়দিনে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে দিল্লির কালকাজি পর্যন্ত চালু হচ্ছে নতুন মেট্রো লাইন। এই লাইনে তিন চতুর্থাংশ পথই দিল্লিতে। বাকিটা উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু মেট্রো উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রী করছেন নয়ডায়। সে জন্য ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। কিন্তু আমন্ত্রিতের তালিকায় নেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল! এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আপ নেতৃত্ব দিল্লি সরকারের দেওয়া টাকা ফেরত চাইছেন। দলের নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের কথায়, ‘‘গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার আশা করা যায় না প্রধানমন্ত্রীর থেকে। ৪৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে দিল্লি সরকারেরও সমান অংশিদারিত্ব আছে। কেন্দ্রের টাকা বড়জোর দশ শতাংশ। দিল্লির টাকা ফেরত দিন প্রধানমন্ত্রী।’’
বিজেপির বক্তব্য, আগে কেন্দ্রের অনেক প্রকল্প নিজে কৃতিত্ব নিয়ে চালু করেছেন কেজরীবাল। কেন্দ্রের মন্ত্রীদের ডাকেননি। ফলে আপের মুখে সৌজন্যের কথা শোভা পায় না। পাল্টা আপের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কতটা নীচে নামতে পারেন, এই ঘটনাই তার নজির। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) দিল্লিরই সংস্থা। কেজরীবাল সরকারই সেটি রাজধানীর উপকণ্ঠে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। গোটা প্রকল্পে যাদের অবদান সবথেকে কম, তারাই সবথেকে বেশি কৃতিত্ব নেওয়ার দৌড়ে নামছে!
আপ সূত্রের বক্তব্য, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেজরীবালকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী দুপুরে ঘটা করে টুইটারে জানান, কাল নয়ডা থেকে কী ভাবে মেট্রো চড়বেন, সভা করবেন। বিরোধীদের অভিযোগ, দিল্লির সঙ্গে শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থার ভোলবদলের পুরো কৃতিত্বটাই মোদী নিতে মরিয়া। অথচ দিল্লি মেট্রোর ভাড়া বাড়ানোর জন্য ৫ লক্ষ যাত্রী মেট্রোয় চড়া বন্ধ করেছেন। আপ নেতা রাঘব চাড্ডার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে না। এত সৌজন্য প্রধানমন্ত্রীর থেকে কাম্যও নয়। কাল মেট্রোর ভাড়া কমানোর কথা ঘোষণা করুন তিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy