শুরু হয়েছিল ৪ ফেব্রুয়ারি। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দীর্ঘ পর্ব শেষ হল আজ। ফল বেরোতে অবশ্য আরও দু’দিন বাকি। হোলি কার রঙিন হবে, ঠিক হবে ১১ মার্চ।
উত্তরপ্রদেশের কুর্সি অখিলেশ যাদবেরই থাকে কি না, দিল্লির পরে পঞ্জাবেও আম আদমি পার্টি সরকার গড়তে পারে কি না, মণিপুরে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে ইরম শর্মিলা চানু বিধায়ক হতে পারেন কি না— এমন নানা প্রশ্নের জবাব মিলতে শুরু করবে আগামী শনিবারের দুপুর থেকেই। তার আগে, আগামিকাল, বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর থেকে শুরু হবে নানা চ্যানেলের বুথ-ফেরত সমীক্ষা। এমন নয় যে এই সমীক্ষার হিসেব সব সময়ে মিলে গিয়েছে। তবে ভোটারদের মনের একটা আভাস পাওয়া যায় এই সমীক্ষায়। তাই তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
৪ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ভোট হয় পঞ্জাব ও গোয়ায়। উত্তরাখণ্ডেও এক দফায়— ১৫ ফেব্রুয়ারি। মণিপুরে প্রথম দফার ভোট হয় ৪ মার্চ। আজ সেখানে ছিল দ্বিতীয় ও শেষ দফার ভোট। দীর্ঘ ভোটযজ্ঞের নিউক্লিয়াস ছিল দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। সেখানে ভোট হয়েছে সাত দফায়। ক্ষমতা দখলে নরেন্দ্র মোদী থেকে রাহুল গাঁধী— শাসক ও বিরোধী পক্ষের শীর্ষ নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। জাতপাতের মেরুকরণ থেকে সমাজবাদী পার্টির ঘরোয়া কোন্দলের নাটক— সবই দেখেছে এই রাজ্য।
আজ, শেষ দিনে উত্তরপ্রদেশে ভোট ছিল বারাণসী-সহ ৪০টি আসনে। মাওবাদী প্রভাবিত শোনভদ্র, মির্জাপুরের মতো জেলাগুলিতেও ভোট হয়েছে। বড় ঘটনা না ঘটলেও জাফরাবাদের বিজেপি প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, গাড়িতে ভোটারদের ভোট দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশেরও বেশি।
রাজনৈতিক তরজা অবশ্য আজও জারি। উত্তরপ্রদেশ-পঞ্জাবের নির্বাচন-কৌশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছিল কংগ্রেস। আজ নাম না করে রাহুল গাঁধীকে খোঁচা দিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, ‘‘আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কোনও নেতাকে যদি বলা হয় যে, ‘তোমাকে ভাড়া করা ম্যানেজারের কথায় চলতে হবে কারণ তাঁর মাথায় বেশি বুদ্ধি’— তা হলে অনেক দলেই বীভৎস প্রতিক্রিয়া হবে। একটা দল যখন ভোট পরিচালনার নেতৃত্ব তৈরি করতে পারে না, তখনই তাদের বাইরের লোকের প্রয়োজন পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy