উত্তরপ্রদেশে জয়ের পরে দলকে এখন থেকেই লোকসভা ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
বিরোধীরা ভোটে তাদের সদ্য ভরাডুবির ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শক্তিশালী মোদীকে ঠেকাতে একজোট হওয়া যায় কি না— তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতেই ২০১৯-এর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সংসদীয় দলের বৈঠকে বিজেপির সাংসদ-মন্ত্রীদের তিনি বললেন, ‘‘আমি নিজেও বসব না। কাউকে বসে থাকতেও দেব না।’’
মোদীর লোকসভা ভোট-অভিযানের প্রস্তুতি-পর্ব শুরু হয়ে যাচ্ছে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে। সে দিন বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মদিন পর্যন্ত গোটা দেশে স্বচ্ছতা অভিযান চালাবে মোদীর দল। সভাপতি অমিত শাহ আজকের বৈঠকে বলেন, বিজেপিকে দলিত সমাজের কাছে পৌঁছতে হবে। তাদের জন্য মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রচার চালাতে হবে। ‘ভীম’ অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে উৎসাহ দিতে হবে আমজনতা ও ব্যবসায়ীদের। নোট বাতিলের জেরে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ হয়েছিল মোদী সরকারের উপরে। অবশ্য তার পরেও মহারাষ্ট্র-উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের মুখ দেখেছে বিজেপি। এ বার সামনে দিল্লির পুরভোট। কাজেই সম্ভাব্য যাবতীয় কাঁটা নির্মূল করতে দলের কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ গতি দেওয়াটাই এখন বিজেপির অগ্রাধিকার।
আরও পড়ুন: আস্থা জিতলেন পর্রীকর
এই অবস্থায় সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি কিংবা জেডিইউয়ের কে সি ত্যাগীর মতো নেতারা মনে করছেন, গোটা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলি একজোট হলেই বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দেওয়া সম্ভব। না হলে ২০১৯-এ ফের ক্ষমতায় আসবেন মোদী। তাঁদের মতে, বিজেপির বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে কংগ্রেসকে। সৌগত রায়ের মতো তৃণমূল নেতাও মনে করেন, বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেস-সহ ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির জোট যে প্রয়োজন— সে কথা অনেক আগেই বুঝেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা যখন বন্ধু খোঁজার কথা বলছেন, লোকসভা ভোটের দামামাই বাজিয়ে দিলেন মোদী।