Advertisement
E-Paper

Assam CM: মার্ক্সবাদ অপ্রাসঙ্গিক, তৃণমূল কী বস্তু: হিমন্ত

সাড়ে ছ’বছর আগে সুস্মিতা দেব ও হিমন্ত একসঙ্গে কংগ্রেসে নেতৃত্ব দিতেন। যে সুস্মিতা এখন তৃণমূলে

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:২১
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ফাইল চিত্র।

অসমে কংগ্রেস বা ইউডিএফ-কে শক্তি বলেই ধরছেন না মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। দু’দিনের কাছাড় সফরে বেশ কয়েকটি সভায় বক্তৃতা করেছেন তিনি। দফায় দফায় সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে এসেছেন। কিন্তু কোথাও ওই দুই দলের কথা এক বারের জন্য উল্লেখ করেননি।

তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে কী ভাবনা তাঁর? শ্লেষমাখা হাসিতে হিমন্তের পাল্টা প্রশ্ন, “সে আবার কী বস্তু?” সাড়ে ছ’বছর আগে সুস্মিতা দেব ও হিমন্ত একসঙ্গে কংগ্রেসে নেতৃত্ব দিতেন। সুস্মিতা যে এখন তৃণমূলে, অসমেও তিনি দলের সংগঠন গড়বেন— এ সবে গুরুত্বই দিতে চাননি হিমন্ত।

তবে তাঁর রবিবারের বক্তৃতা জুড়ে ছিলেন বামেরা। ‘বিমলাংশু রায় ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির সবচেয়ে ক্ষতি করেছে বামেরা। আধ্যাত্মিকতা, বিশ্বাস ও পরম্পরাই ছিল ভারতের মূলকথা। মার্ক‌্সবাদকে টেনে এরাই একে
চ্যালেঞ্জ করে।” হিমন্তের মতে, মার্ক‌্সীয় তত্ত্ব ভারতে অপ্রাসঙ্গিক। মার্ক‌্সবাদে যে সাম্যের কথা বলা হয়েছে, বেদ ও উপনিষদে তা বহু আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। হিমন্তের কথায়, “আমরা সবাই একই পরমাত্মার সৃষ্টি, এর চেয়ে বড় সাম্যের উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না।” তাঁর ব্যাখ্যা, এরাই নকশাল আন্দোলন করে, ভাষা নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করে। কৃষ্ণ সংস্কৃতি বরাক-ব্রহ্মপুত্রকে এক করে রেখেছিল। এরাই ভাষার নামে বিভাজন তৈরি করেছে। ইতিহাস-ভূগোল সভ্যতা-সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, সেখানেও বামেরা পার্থক্য করে সংঘাত শেখায়। বামেদের উদ্দেশে হিমন্তের পরামর্শ, “বিদেশি ইতিহাস ছেড়ে নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ইতিহাস পড়ুন।"
তাতেই অসমে হিন্দু-মুসলমানে বিভেদ মিটে যাবে বলেও দাবি করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বিশ্লেষণ, এই রাজ্যের মুসলমানদের অধিকাংশ তিন-চার প্রজন্ম আগের কথা জানলে দেখা যাবে, তাঁদের পূর্বপুরুষ হিন্দু ছিলেন। তাঁরাও ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির প্রাচীন অংশীদার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন হয়তো উপাসনা পদ্ধতি বদলে গিয়েছে, তাই বলে তো আর পূর্বপুরুষের সংস্কৃতি-ইতিহাসকে কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না! শনিবার শিলচরের আরএসএস অফিস থেকে শুরু হয়েছিল হিমন্তের কাছাড় সফর। আজ বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে হিমন্ত জানিয়ে গেলেন, ‘‘স্বয়ংসেবক হিসাবেই গিয়েছিলাম আরএসএস কার্যালয়ে।’’

Himanta Biswa Sharma Assam Marxism TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy