Advertisement
E-Paper

‘আমি ক্লান্ত, কিছু করার ছিল না’! ‘ভুয়ো বিল’ পাশের চাপ, দুই সিনিয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অসমে আত্মঘাতী তরুণী ইঞ্জিনিয়ার

তরুণীর পরিবার একটি এফাইআর দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে দীনেশ মেধি শর্মা নামে এক ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫ ১৩:১২
সেই তরুণী ইঞ্জিনিয়ার। ছবি: সংগৃহীত।

সেই তরুণী ইঞ্জিনিয়ার। ছবি: সংগৃহীত।

কর্মস্থলের দুই সিনিয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন অসমের পূর্ত দফতরের তরুণী অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর ভাড়াবাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেখানে দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানসিক চাপ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণী ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগ, তাঁর দুই সিনিয়র ‘ভুয়ো বিল’ পাশ করানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এই মানসিক চাপ তিনি আর সহ্য করতে পারছিলেন না। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিঠিতে ইঞ্জিনিয়ার লেখেন, ‘‘কাজে প্রচণ্ড চাপ। এই চাপ নেওয়া যাচ্ছিল না। অফিসে আমাকে সহযোগিতা করার মতো কেউ নেই। আমি ক্লান্ত। কোথাও যাওয়ার নেই। বাবা-মা সব সময়েই আমাকে নিয়ে চিন্তা করেন।’’

তরুণীর পরিবার একটি এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে দীনেশ মেধি শর্মা নামে এক ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি তিনি সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদে উন্নীত হয়েছিলেন। বঙ্গাইগাঁওয়ে এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের পদে কর্মরত ছিলেন। দীনেশ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে আমিনুল ইসলাম নামে আরও এক আধিকারিককে। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তরুণী ইঞ্জিনিয়ার কোন বিলের কথা বলে গিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Assam PWD
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy