ছবি: সংগৃহীত।
ডিব্রু-শইখোয়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে বসবাস করা লাইকা-দহিয়ার গ্রামবাসীরা সুষ্ঠু পুনর্বাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনসুকিয়ায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্না দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে আরও এক মহিলা বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন। এর আগে আন্দোলনস্থলে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন এক মহিলা ও গর্ভস্থ সন্তান।
সব মিলিয়ে ভোটের আগে চাপ বাড়ছে সরকারের উপরে। গত কাল নবগঠিত অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিণজ্যোতি গগৈ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাত কাটান। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসও। বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে লাইকা-দহিয়ার বাসিন্দাদের জন্য ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছেন।
অসম সরকারই ১৯৫০ সালের ভূমিকম্পে ঘরহারা পরিবারগুলিকে এই এলাকায় পুনর্বাসন দিয়েছিল। তখন ডিব্রু-শইখোয়া জাতীয় উদ্যান বা অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত হয়নি। বর্তমানে তা জাতীয় উদ্যান। তাই সাত হাজার বিঘা জমি দখল করে থাকা সাড়ে পাঁচ হাজার গ্রামবাসীকে সরিয়ে তিনসুকিয়া ও লখিমপুরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে চাইছে সরকার। গ্রামবাসীদের দাবি, পুনর্বাসনের জন্য চিহ্নিত এলাকাগুলি ফি বছর বন্যায় ডুবে যায়। তাই সেখানে বাস করা বা চাষ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তাঁরা দুই জেলায় ছড়িয়ে না থেকে একসঙ্গে থাকতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy