কেরল নয়, অসম-মেঘালয়েই বসতে চলেছে দ্বাদশ সাফ গেম্স-এর আসর। কলকাতা (১৯৮৭) ও চেন্নাইয়ের (১৯৯৫) পর গুয়াহাটি-শিলং যুগ্ম ভাবে এই সম্মান পাচ্ছে। নভেম্বরে আয়োজিত হবে ওই প্রতিযোগিতা।
সাফ গেম্স বর্তমানে ‘সাউথ এশিয়ান গেম্স’ বা স্যাগ নামেও পরিচিত। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে, অসমের সাংসদ তথা দেশের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল প্রস্তাব দেন, প্রধানমন্ত্রী যে হেতু উত্তর-পূর্বকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তাই স্যাগের আসর গুয়াহাটি ও শিলংয়ে বসানো হোক।
সেই মর্মে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়। জানুয়ারিতে সফল ভাবে গুয়াহাটিতে জাতীয় যুব মহোৎসবও পালিত হয়। কিন্তু, বছরের প্রথমে যুব মহোৎসবের পরে, বছরের শেষে স্যাগের আয়োজনও সফল ভাবে করলে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তর-পূর্বে বিজেপির ব্যাপক বিজ্ঞাপন হবে বলে আশঙ্কা করে কংগ্রেস। মেঘালয়ের আপত্তি না থাকলেও, অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিকাঠামো থাকলেও ৮টি দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগী ও কর্তাদের রাখার মতো জায়গা গুয়াহাটিতে নেই। যদি ২০১৬ সালের শেষে স্যাগ করা হয় তবেই অসম ভালভাবে তা আয়োজন করতে পারবে।
সর্বানন্দ গত ২০ মে জানান, আন্তর্জাতিক খেলার প্রতিযোগিতা এমন ভাবে এক বছর পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। অসম সরকার স্যাগের আয়োজনে অনীহা দেখানোয় ওই আসর বসবে কেরলে। এর পরই বিভিন্ন শিবির থেকে রাজ্য সরকারের সমালোচনা হয়। স্যাগ করার প্রস্তাব ফিরিয়ে উল্টো প্রতিক্রিয়া হয়েছে বুঝে অসম সরকার ফের কেন্দ্রের কাছে সময় চায়। কেন্দ্র দ্রুত রাজ্যের কাছে উত্তর চায়। সম্প্রতি রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ সচিব অজয় তিওয়ারি স্যাগ করানোয় সম্মতি জানিয়ে নয়াদিল্লিতে চিঠি পাঠান। এ বিষয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, ‘‘আমরা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে আপত্তি জানাইনি। বলেছিলাম, কেন্দ্র সহযোগিতা করলে রাজ্য স্যাগের জন্য প্রস্তুত।’’
অসমের সম্মতির কথা জানান সোনোয়াল। তিনি জানিয়েছেন, ১৩ জুন, সিঙ্গাপুরে সাউথ এশিয়ান গেম কাউন্সিলের বৈঠকে ভারতের তরফে গুয়াহাটি ও শিলংয়ের নাম প্রস্তাব করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy