ফাইল চিত্র।
এনআরসি প্রশ্নে খানিকটা একা হয়ে পড়ায় পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।
অথচ গত শুক্রবারই তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিল, এনআরসি প্রশ্নে সোমবার সরকারের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে দল। আজ তৃণমূল সরব হল বটে, কিন্তু মূলত তা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইভিএম কারচুপি নিয়ে। ফলে এনআরসি-র বিষয়টি চলে যায় পিছনের সারিতে। আজ সংসদ চত্বরে গাঁধী মূর্তির সামনে তৃণমূলের ধর্নায় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে দলীয় সাংসদেরা অল্পবিস্তর স্লোগান দিলেও, সংসদের ভিতরে উভয় কক্ষে কার্যত নীরবই থাকে দল।
তৃণমূল সূত্র বলছে, এনআরসি নিয়ে সরব হয়ে কিছুটা হিতে বিপরীত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা আইনত অবৈধ বসবাসকারী। তাদের পক্ষে সওয়াল করা নিয়ে দলের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এতে রাজ্যে বিজেপির হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলেই মনে করছেন সাংসদদের একাংশ। তা ছাড়া অসমের তালিকায় নাম না-থাকা ব্যক্তিদের এ রাজ্যে স্বাগত জানানোর বিষয়টি রাজ্যবাসী যে ভাল ভাবে নেননি, তা-ও বুঝতে পারছে দল।
মুখ পুড়েছে শিলচরের ঘটনাতেও। নাগরিক পঞ্জি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে আপাত শান্ত অসমে প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিজেপি তো বটেই, সরব হয়েছে সিপিএম-কংগ্রেসও। আজ দিল্লির প্রেস ক্লাবে এনআরসি সংক্রান্ত সম্মেলনে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলে সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘সিপিএম বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু তৃণমূল যে ভাবে সমস্যায় আরও ইন্ধন জোগাচ্ছে তা নিন্দনীয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy