প্রতীকী ছবি।
পরপর দু’দিনে দু’টো খুন। দুই ক্ষেত্রেই ধর্ষণ করা হয়েছে মৃতদেহকে। পকেটে এসেছে লুঠের ধন। তা দিয়েই নতুন গামছা কিনে তৈরি হচ্ছিল তৃতীয় শিকারের জন্য। ট্রেনে জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃত ডিব্রুগড়ের ব্রিজমোহন দাস ওরফে বিকাশকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে। গত রাতে ধরা পড়েছে তার সঙ্গী বিপিন পাণ্ডেও।
গত মঙ্গল ও বুধবার শিবসাগর ও মরিয়নির মাঝে ট্রেনে এসএলআরডি কামরার শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাধা কুমারী ও ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি লালিমা দেবীর দেহ। ডিব্রুগড়ের এএসপি সুরজিৎ সিংহ পানেসর ও শিবসাগরের এএসপি বলিন দেউড়ি জানাচ্ছেন, রাধাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাধা পায় বিকাশ। তাই আঘাত করে ও শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করে। এর পরে মৃতদেহকে ধর্ষণ করে তারা। লালিমা দেবীর ক্ষেত্রেও একই কাজ করে দু’জনে। দেহ দু’টি শৌচালয়ে ঢুকিয়ে নিউ তিনসুকিয়ায় প্ল্যাটফর্মের উল্টো দিকে ট্রেন থেকে নেমেছিল দু’জনে। সিসি ক্যামেরায় তা ধরা পড়ে। বিকাশের কাছ থেকে পায়েল, দুল ও টাকা উদ্ধার হয়েছে। একই কায়দায় গত বছরও একটি খুন করেছে তারা। এ ছাড়া যাত্রীদের লুটও করত চেতনানাশক খাইয়ে। পুলিশ জেনেছে, বিকাশের তিন বিয়ে। কোনওটিই টেকেনি। তার যৌনাঙ্গ ও মানসিকতায় সমস্যা রয়েছে।
জোড়া খুনের পর বিপিন পালিয়েছিল ডিমাপুরে। বিকাশ গ্রেফতার হওয়ার পরে গত কাল রাতে সে-ও ধরা পড়ে বাণীপুর স্টেশনে, নিউ তিনসুকিয়া-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরা এস-২ থেকে। এতেই যাত্রী নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোঁহাই সব স্টেশনে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী কামরায় অন্য যাত্রী ওঠার উপরেও নজরদারি চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy