এক জন উত্তর-পূর্বে শেষ দুর্গটি অটুট রাখতে মরিয়া। অন্য জন চান উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের কফিনে শেষ পেরেক পুঁততে। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গাঁধী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, দু’জনেই আজ ভোটের প্রচার করলেন মিজোরামে। রাহুল শোনালেন, এক দশকে মিজোরামের কতটা উন্নতি ঘটিয়েছে কংগ্রেস। আর অমিতের মুখে ছিল প্রতিশ্রুতির ভূরিভোজ, সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথাও। রাহুল জানালেন, ভোটে জিতে বাবার মতো আইজলের পথে গাড়ি চালিয়ে ঘুরবেন। আর অমিতের দাবি, রাজ্যে এ বার বিজেপি জমানায় বড়দিনের কেক কাটবে। মিজোরামবাসী কোনও একটিকে বেছে নেবেন ২৮ তারিখ।
চাম্পাই ও আইজলে নির্বাচনী সভায় রাহুল এ দিন বিজেপির চেয়ে বেশি সমালোচনা করেন এমএনএফের। বলেন, ‘‘মিজোরামের আঞ্চলিক দলের ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে এমএনএফ যে ভাবে বিজেপির হাতের পুতুল হয়ে লড়ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। লোকসভা ভোটে জিততে পারবে না বুঝে গিয়েছে বিজেপি। তাই তারা মিজোরামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস করে যে কোনও উপায়ে রাজ্য দখল করতে চাইছে।’’ রাফাল প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘মোদী যে পরিমাণ টাকা অনিল অম্বানীকে দিয়েছেন, তা গোটা দেশের এমএনরেগার বাজেটের সমান। অন্য দিকে লাল থানহাওলার নেতৃত্বে মিজোরামে এক দশকের কংগ্রেসের শাসনে মাথাপিছু আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। নতুন ভূমি নীতির ফলে উপকৃত হয়েছে হাজার হাজার পরিবার।’’ ১৯৮৭ সালে বাবা রাজীব গাঁধীর সঙ্গে মিজোরামে আসার স্মৃতি টেনে রাহুল বলেন, ‘‘সে বার আইজলের রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে ঘুরেছিলেন বাবা। এ বারে ভোটে জেতার পরে আমি এসে গাড়ি চালিয়ে বাবার মতোই শহরে ঘুরব।’’
প্রদেশ বিজেপি সভাপতি জে ভি লুনার দাবি ছিল, কংগ্রেস ভাঙবে। লাল থানহাওলা নিজেই বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। লাল থানহাওলার বক্তব্য, বিজেপি দেদার টাকা ছড়িয়ে মিজোরাম দখলের চেষ্টা চালালেও ভোটে জিতে কংগ্রেসই ক্ষমতায় থাকছে। তাঁদের দলে ভাঙন ধরবে না।