এখনও পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ চললেও তেলঙ্গানায় ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম রহস্যজনক ভাবে বাদ পড়ার অভিযোগ তুললেন ব্যাডমিন্টন তারকা জ্বালা গাট্টা। নির্বাচন ব্যবস্থায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে সেই ক্ষোভ তিনি জানালেন টুইটারে। অনলাইন তালিকায় নাম থাকলেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে তিনি দেখেন তাঁর নাম নেই। শুধু জ্বালা গাট্টাই নন, অনেক সাধারণ মানুষও এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।
রাজস্থানে ৫১৯৬৫টি বুথে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভাগ্যপরীক্ষা হবে ২২৭৪ জন প্রার্থীর। তেলঙ্গানার ১১৯টি আসনের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। বাকি ১৩টি মাওবাদী প্রভাবিত বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সব মিলিয়ে বুথের সংখ্যা ৫১ হাজার ৭৯৬। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১৮২১ জন প্রার্থীর। মোট ভোটার প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ।
রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার মূল প্রতিপক্ষ সচিন পায়লটের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। ঝালরাপতন কেন্দ্রে বসুন্ধরা রাজে ছাড়াও বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন চুরু কেন্দ্রে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী রাজেন্দ্র রাঠৌর, আদর্শনগর কেন্দ্রে রাজ্য বিজেপি সভাপতি অশোক প্রণমী, অজমেঢ় দক্ষিণে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অনিতা ভাদেল, উদয়পুর কেন্দ্রে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়া।
হাত শিবিরে বিরোধী দলনেতা তথা জাঠ নেতা রামেশ্বর লাল ডুডি প্রার্থী হয়েছেন নোখা কেন্দ্রে। টঙ্ক কেন্দ্রে প্রার্থী রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি সচিন পাইলট। এ ছাড়াও সর্দারপুরা কেন্দ্রে প্রার্থী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, গুধা মালিনী কেন্দ্রে রাজ্যের প্রাক্তন রাজস্বমন্ত্রী হেমারাম চৌধুরী, ঝালরাপতন কেন্দ্রে যশোবন্ত সিংহের ছেলে মানবেন্দ্র সিংহ, বাগিডোরায় প্রাক্তন মন্ত্রী মহেন্দ্র জিৎ সিংহ মালব্যর মতো হেভিওয়েটরা। সমাজবাদী পার্টির পাঁচ বারের সাংসদ এবং দু’বারের বিধায়ক লক্ষণ সিংহ চৌধুরী লড়ছেন রামগড় কেন্দ্রে।
তেলঙ্গানায় মূল লড়াই তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) সঙ্গে কংগ্রেস, তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি), সিপিএম এবং তেলঙ্গানা জন সমিতির (টিজেএস) জোট। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) সমর্থন করছে টিআরএস-কে। প্রার্থী দিয়েছে হায়দরাবাদের সাতটি কেন্দ্রে। মেয়াদ ফুরনোর প্রায় আট মাস আগেই ইস্তফা দিয়ে ভোটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর।