প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন দফতরের নাম হবে সেবাতীর্থ। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে ৭৮ বছরের পুরনো সেই ‘প্রাইম মিনিস্টার্স অফিস’ (‘পিএমও’ নামে যা পরিচিত)-এর স্থানান্তরও ঘটছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেন্ট্রাল ভিস্তায় তিনটি ভবন বিশিষ্ট একটি নুতন কমপ্লেক্সে এ বার হবে পিএমও-র কাজ। সেই কমপ্লেক্সের নাম হচ্ছে ‘সেবাতীর্থ’।
বায়ুভবনের অদূরে ‘এগ্জ়িকিউটিভ এনক্লেভ ওয়ান’-এর তিনটি ভবনের একটিতে হবে প্রধানমন্ত্রীর নতুন দফতর। সেটি ‘সেবাতীর্থ’ নামে চিহ্নিত হবে। পাশের দু’টি ভবনের নাম হবে ‘সেবাতীর্থ-২’ এবং ‘সেবাতীর্থ-৩’। সেখানে হবে ক্যাবিনেট সচিবালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের দফতর। সরকারি সূত্রের দাবি, ‘জনসেবা’ বা ‘সেবার চেতনা’র বার্তা দিতেই এই নামবদল। পিএমও-র নতুন নামকরণের মাধ্যমে মোদীর দফতরকে ‘জনসেবার তীর্থক্ষেত্র’ হিসেবে তুলে ধরার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সরকারি সূত্রের খবর, গত ১৪ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে ঠিকানা বদলের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব টিভি সোমনাথ এ ব্যাপারে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) প্রধানদের সঙ্গে সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডেভেলপমেন্ট (সিপিডব্লিউডি) নির্মিত সেবাতীর্থ ২-এ জরুরি বৈঠকও করছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রাতারাতি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ঠিকানা বদলে গিয়েছিল। রেস কোর্স রোডের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী বাংলোর রাস্তাটির নাম লোককল্যাণ মার্গ হয়ে যাওয়ার কারণেই তাঁর ঠিকানা বদল হয়েছিল।