কেরলের বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! সামনেই কেরলের নিলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। বাংলার শাসকদল এ বার নিলাম্বুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে পিভি আনবরকে। ইতিমধ্যে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। মনোনয়নের সঙ্গে জমা দিয়েছেন নির্বাচনী হলফনামাও। মালয়লি ভাষায় লেখা আনবরের ওই হলফনামা প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হলফনামায় আনবর উল্লেখ করেছেন, স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৩৪ কোটি টাকার এবং অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৮ কোটি টাকার। ২০ কোটি টাকা ঋণও রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। ২০২১ সালের ঘোষণা অনুসারে, আনবরের ৬৪ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল। ওই সময় তাঁর ঋণ ছিল ১৭ কোটি টাকা। তৃণমূল প্রার্থীর পরিবারের দুই সদস্যেরও ৮ কোটি এবং ৩ কোটি টাকার (প্রত্যেকের ১.২ কেজি সোনা-সহ) সম্পত্তি রয়েছে।
হলফনামা অনুসারে পিটিআই জানিয়েছে, আনবরের বিরুদ্ধে ১০টি ফৌজদারি মামলাও রয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে রুজু হয়েছে। কিন্তু কোনও মামলাতেই চার্জ গঠন হয়নি। বস্তুত, ২০১৬ সাল এবং ২০২১ সাল— পর পর দু’বার নিলাম্বুর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন আনবর। কেরলের বাম জোট এলডিএফ সমর্থিত নির্দল বিধায়ক ছিলেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তৃণমূলে যোগ দেন আনবর।
আরও পড়ুন:
কেরলের বিরোধী জোট ইউডিএফ-এর তরফে ওই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে কংগ্রেসের শৌকতালিকে। তাঁরও ৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। সিপিএমের নেতৃত্বাধীন শাসক জোট এলডিএফ প্রার্থী এম স্বরাজের সম্পত্তির পরিমাণ ৬৩ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। কেরলে বাম জোটের প্রার্থী এম স্বরাজের ৬৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তির মধ্যে স্থাবর সম্পত্তিই রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬২ লক্ষ টাকার। এলডিএফ প্রার্থীর স্ত্রীরও ২০০ গ্রাম সোনা ৯৪ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। হলফনামা অনুসারে স্বরাজ এবং তাঁর স্ত্রীর মোট ৩৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার ঋণ রয়েছে।