বেসরকারিকরণের জন্য গত ৫ বছরে চাকরি হারিয়েছেন এক লক্ষের বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরে। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই তথ্য দিল কেন্দ্র।
গত মঙ্গলবার লোকসভায় একটি লিখিত জবাবে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী বিএল বর্মা জানান, ২০১৯-’২০ সাল থেকে ২০২৪-’২৫ সাল পর্যন্ত ৯ লক্ষ ২০ হাজার স্থায়ী কর্মীর চাকরি গিয়েছে। কারণ,কেন্দ্রের অধীন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার(সেন্ট্রাল পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইস বা সিপিএসই) বিলগ্নিকরণ এবং বেসরকারিকরণ। সিপিএসই হল কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ অথবা মালিকানাধীন বিভিন্ন সংস্থা। কোনও সংস্থায় মূলধনের ৫১ শতাংশ বা তার বেশি কেন্দ্রের শেয়ার থাকলে সেটি সেন্ট্রাল পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইস। তামিলনাড়ুর সিপিএম সাংসদ সচিতানন্থম সংসদে জানতে চেয়েছিলেন, সিপিএসই-র বেসরকারিকরণের ফলে গত পাঁচ বছরে কত মানুষ চাকরিহারা হয়েছেন। সেই সঙ্গে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির কত জন চাকরি হারিয়েছেন। তার জবাবে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের নিয়মিত কর্মচারীর সংখ্যা ২০১৯-’২০ সালে ৯.২ লক্ষ থেকে কমে ২০২০-’২১ সালে ৮.৬ লক্ষ হয়েছিল। ২০২১-’২২ সালে সেটা দাঁড়ায় ৮.৩৯ লক্ষে।
২০২৩-’২৪ সালে কেন্দ্রের নিয়মিত কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ৮.১২ লক্ষ। এই সময়ের মধ্যে তফসিলি জাতি এবং জনজাতি কর্মীদের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) কর্মীচারীর সংখ্যা ১.৯৯ লক্ষ থেকে বেড়ে ২.১৩ লক্ষ হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভের মাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৫ বছর বা তার বেশি সময়ে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৫ শতাংশের বেশি। গত ২০২২-’২৩ সালের রিপোর্টে গড় বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল সবচেয়ে কম, ৩.২ শতাংশ।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় একটি পৃথক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছিল, ২০১৪-’১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারিকরণ-সহ বিভিন্ন পদ্ধতি এবং পদক্ষেপের মাধ্যমে ৪,৩৬,৭৪৮ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।