শুভকরণ সিংহ (ছবিতে ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রাণ হারান বছর একুশের কৃষক শুভকরণ সিংহ। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে গোড়া থেকেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, পঞ্জাব-হরিয়ানার খনৌরি সীমানায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় চোট পেয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ইঙ্গিত যে, পেলেট গানের ছররা লেগেই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণ কৃষকের।
সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত কৃষকের মাথার পিছন দিকে একাধিক ছররা বিঁধে ছিল। তাঁর শরীরের অন্য কোনও অংশে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, দিল্লির কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়া অনেক কৃষকই ছররার আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
বুধবার শুভকরণের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। চিকিৎসকেরা রিপোর্ট তুলে দেন পটীয়ালা পুলিশের হাতে। তবে ময়নাতদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলতে চাননি চিকিৎসকেরা। ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার পটীয়ালার রাজেন্দ্র মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকে নিহত কৃষকের দেহ নিয়ে আসা হয় খনৌরি সীমানায়। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন প্রতিবাদী কৃষক এবং কৃষকনেতারা। কৃষক সংগঠনগুলির পতাকা অবনমিত করা হয়। তার পর ওই কৃষকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেই সময় খনৌরি সীমানায় উপস্থিত ছিলেন কৃষকনেতা সরওয়ান পান্ধের, জগজিৎ সিংহ দাল্লেওয়াল প্রমুখেরা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকেরা ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দেন। সেই থেকে তাঁরা পথে। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান পুলিশের সঙ্গে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি খনৌরি সীমান্তে পুলিশের বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে তিন জন গুরুতর জখম হন। হাসপাতালে এক জনের মৃত্যু হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে জানায়, মাথায় আঘাতের কারণে ২১ বছরের ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পঞ্জাবের আপ সরকার ওই কৃষকের পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেও তা নিতে অস্বীকার করেন তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy