খাগড়াছড়ির ঘটনায় ভারতের দিকে আঙুল তুললেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। একইসঙ্গে নাম না করে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা রুখতে প্রশাসন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে। গত কাল সেনার গুলিতে নিহত তিন জনের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। নিহতের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
খাগড়াছড়ির গুইমারায় মারমা স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল খাগড়াছড়ি। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তিন জন। ওই ঘটনার পিছনে ভারতের ইন্ধন থাকতে পারে বলে আজ মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। তিনি জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে পালনের জন্য সরকার সব রকমপ্রস্তুতি নিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘একটা মহল চায় এই উৎসবটা যেন ভাল ভাবে উদ্দীপনার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে না হতে পারে। এক প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গির চৌধুরী বলেন, ‘‘ভারতের ইন্ধনে বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে এই ঘটনাটা ঘটানো হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা খাগড়াছড়িতে রয়েছেন এবং এ বিষয়টি তদারকি করছেন।’’
খাগড়াছড়িতে গুলিতে নিহত তিন জনই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। নিহত তিনজন হলেন তৈইচিং মারমা(২০), আথুইপ্রু মারমা(২১) এবংআখ্রাউ মারমা(২২)। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের ময়না তদন্ত শেষ হওয়ার পরে দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আজ দুপুরে খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের বৈঠক হয়েছে।
গণধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট। এই জোটের অধীনে থাকা ১৭টি মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে, এই জোট নির্যাতিতা ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)