E-Paper

অসম থেকে ‘পুশব্যাক’ বন্ধ অসম্ভব মেনেও ফের চিঠি দেবে ঢাকা

পুশ-ব্যাক করার ঘটনা নিয়ে বড়োভূমি সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠনের দায়ের করা মামলাটি গ্রহণ না করে তাদের হাই কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ০৯:২৯
ভারতকে আবার চিঠি দেবে বাংলাদেশ।

ভারতকে আবার চিঠি দেবে বাংলাদেশ। —প্রতীকী চিত্র।

সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে পাকড়াও করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার (‘পুশ-ব্যাক’) অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠেছে অসমের হিমন্তবিশ্ব শর্মার সরকারের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন মেনে নিলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ আটকানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এটি বন্ধ করতে ভারতকে আবার চিঠি দেবেন তাঁরা। কূটনৈতিক পর্যায়ে এ নিয়ে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।

‘পুশ-ইন’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন তৌহিদ। তিনি বলেছেন, ‘‘পুশ-ইন হচ্ছে, ফিজ়িক্যালি এটি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে। আমরা আজকে বা আগামিকাল আর একটা চিঠি দেব এ বিষয়ে। আমরা বলেছি, এটা যেন সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী হয়।’’

উপদেষ্টার বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে দু’পক্ষেরই বক্তব্য থাকতে পারে। কূটনৈতিক পর্যায়ের মেকানিজ়ম ব্যবহার করে বিষয়টিকে একটি নিয়মের মধ্যে আনা দরকার। চাইলে সেটি নিয়মিত পদ্ধতিতে হতে পারে। কিন্তু নিয়মের বাইরে যেন না যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেক করে দেখেছি, দীর্ঘদিন আগের তালিকা (ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি) আছে একটা এবং আমরা পাশাপাশি এটাও দেখেছি যে, আসলে তাদের তালিকা অনুযায়ী আমরা চেকআপ করেঅনেককে নিয়েছি।’’

কূটনৈতিক আলোচনায় বসার বিষয়ে তৌহিদ বলেন, ‘‘আমরা বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা চিঠি পাঠাব। যেটাতে আমরা কিছু পদ্ধতির কথা আর এক বার উল্লেখ করব এবং আমাদের যে পদ্ধতি আছে, কনস্যুলার আলাপ-আলোচনার, সেটাও আমরা ব্যবহার করার চেষ্টা করব।’’ অন্তর্বর্তী সরকার সূত্রের দাবি, ভারতকে এখনও অবধি পাঁচটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এখন ষষ্ঠ চিঠিটি যাবে দিল্লিতে। বাংলাদেশের অভিযোগ, গত ২৩ দিনে ১২৩৯ জনকে তাদের দিকে ঠেলে দিয়েছে ভারত।

পুশ-ব্যাক করার ঘটনা নিয়ে বড়োভূমি সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠনের দায়ের করা মামলাটি গ্রহণ না করে তাদের হাই কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবে ধুবুড়ি থেকে ২৪ মে গ্রেফতার হওয়ার পরে নিখোঁজ হওয়া মনোয়ারা বেওয়ার সন্ধান চেয়ে তাঁর ছেলের করা মামলাটি শুনানির জন্য সর্বোচ্চ আদালত গ্রহণ করেছে। ছেলে ইউনুস আলি তাঁর মায়ের অবস্থান জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছেন। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার একটি ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি তোলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল মনোয়ারাকে বিদেশি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু হাই কোর্ট ট্রাইব্যুনালের আদেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মনোয়ারাকে পুশ-ব্যাক করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Assam Himanta Biswa Sarma

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy