বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বরাক উপত্যকার মানুষ। একের পর এক মুক্তমনারা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে দুশ্চিন্তায় এই অঞ্চলের বিভিন্ন সংগঠন। তাঁরা দু’দিক থেকে বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেন। নিজেরা আগরতলা ভিসা অফিসের মাধ্যমে সে দেশের সরকারের কাছে স্মারকপত্র পাঠাবেন। আবার ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টিকে কূটনৈতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে আর্জি জানানো হবে। আজ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে নিয়ে নাগরিক সভার আহ্বান করে বরাক ভ্যালি হিউম্যান রাইটস প্রোটেকশন সোসাইটি। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বিশ্বতোষ চৌধুরী, পৃথক বরাক দাবি কমিটির সম্পাদক শুভদীপ দত্ত, আইনজীবী ইমাদউদ্দিন বুলবুল, আভা ভট্টাচার্য, শিবু চৌধুরী, অলক পালচৌধুরী, সত্যজিত দে, অনিল পাল, রণধীর চক্রবর্তী ও পবিত্র দাস সবাই বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা এই ক-দিনে মাত্রাছাড়া। হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সবাই নিরাপত্তাহীনতায়। রেহাই মিলছে না প্রগতিশীল মানসিকতার সংখ্যাগুরুদেরও।
রণধীর চক্রবর্তী, বিশ্বতোষ চৌধুরীর মত অনেকে খোলামেলা বলেন, এইসব ঘটনায় বর্তমান বাংলাদেশ সরকার জড়িত থাকতে পারে না। মুজিবকন্যা এমন কিছু করতে পারে না। তাঁর সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে।
বরাক ভ্যালি হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন সোসাইটি-র সাধারণ সম্পাদক নীলাদ্রি রায় বলেন, মানবতা-বিরোধীদের ফাঁসি দেওয়ায় মৌলবাদীরা দিশেহারা অবস্থায়। এরাই সরকারকে অস্থির করে তুলতে সংখ্যালঘু নির্যাতন করে চলেছে।
বিশিষ্ট কবি জিতেন নাগের পৌরোহিত্যে আয়োজিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে স্মারকপত্র পেশের সঙ্গে বিশ্ব মানবাধিকার কমিশনে বিষয়টি তোলার জন্যও প্রস্তুতি চালানো হবে। মে-র শেষ সপ্তাহে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও ভাবছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy