Advertisement
E-Paper

বেজিং স্থিতাবস্থা চাইবে ডোকা লায়

থিম্পু মনে করছে, সমস্যা ভারত-চিনের মধ্যে হলেও বেজিং শেষ পর্যন্ত ভুটানের সঙ্গে কথা বলেই ডোকা লা থেকে সেনা সরাতে পারে। সে ক্ষেত্রে অগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে চিন-ভুটান যে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে, তার পরেই কিছু একটা বিহিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সে দেশের এক কূটনীতিক। ওই বৈঠকে ডোকা লা-য় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার প্রসঙ্গ ভুটান ফের তুলবে বলে জানান তিনি।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০৪:১২

ডোকা লা’র অচলাবস্থা দেড় মাস কেটে গিয়েছে। তা মিটতে আরও বেশ কিছু দিন লেগে যাবে বলে মনে করছে ভুটান। থিম্পু মনে করছে, সমস্যা ভারত-চিনের মধ্যে হলেও বেজিং শেষ পর্যন্ত ভুটানের সঙ্গে কথা বলেই ডোকা লা থেকে সেনা সরাতে পারে। সে ক্ষেত্রে অগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে চিন-ভুটান যে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে, তার পরেই কিছু একটা বিহিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সে দেশের এক কূটনীতিক। ওই বৈঠকে ডোকা লা-য় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার প্রসঙ্গ ভুটান ফের তুলবে বলে জানান তিনি।

এর আগে ২৪ বার দু’দেশের সীমান্ত আলোচনা হয়েছে। কিন্তু চিন তার ১৪টি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে একমাত্র ভারত আর ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মেটায়নি। চিন চায় উত্তর ভুটানের বিবাদগ্রস্ত জাকারলাঙ্গ এবং পাশামলাঙ্গ অংশটি দিয়ে পশ্চিম সীমান্তের ডোকা লা নিয়ে নিতে। ডোকা লা চিনের হাতে যাওয়া ভারতের পক্ষে বিপদজনক। কারণ এখান থেকে শিলিগুড়ি ৮০ কিমি আর আকাশপথে নাগরাকাটা ২০ কিমি। ভুটান এখনও পর্যন্ত চিনের চাপের কাছে মাথা নোয়ায়নি বলে জানান ওই কুটনীতিক।

তাঁর মতে, ‘‘এর মাঝে নাথু লা পয়েন্টে ভারতীয় সেনা এবং চিনের পিএলএ-র মধ্যে ‘বর্ডার ম্যানেজমেন্ট টক’ হলে পরিস্থিতি আরও সহজ হয়ে আসতে পারে।’’ গত ৭ জুন থেকে ডোকা লা অঞ্চলে গোলমাল শুরু হয়েছে। ১৭ জুনের পর তা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু প্রথম ২২ দিন ভুটান এ নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। ২৯ জুন দিল্লিতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ভেটসপ নামগিয়েল বিবৃতি দিয়ে জানান ডোকা লা নিয়ে বিবাদ রয়েছে। সেখানে চিন রাস্তা নির্মাণ করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করেছে। যার প্রতিবাদ করে চিনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগের পরিস্থিতিও ফিরিয়ে আনার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি। বরং চিন আরও আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে।

এ দিন অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশেন (ওআরএফ)-এর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের কলকাতার ভাইস কনসাল পেমা টোবগে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই অংশটি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। সেখানে কারও কিছু করার কথা নয়। ভুটান স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী।’’ ভুটানের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির যোগাযোগের প্রসঙ্গে ভুটান-বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) পরিবহণ চুক্তির প্রসঙ্গও ওঠে। শেষ মুহূর্তে ভুটান এই চুক্তি মানেনি। তা হলে কি এখানেও কোনও বাইরের শক্তির হাত রয়েছে? টোবগে বলেন, ‘‘কোনও বাইরের শক্তির হাত নেই। দেশের মধ্যেই প্রকল্পটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সংসদের উচ্চকক্ষ তা আটকে দিয়েছে। সময়মতো আমরা এতে যোগ দেব।’’

Beijing Bhutan Doka La India Indo-China Bordar ডোকা লা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy