Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

পরপর ভালবাসার দিন

সূর্যের ম্লান হলদে আলোয় মোড়া বিকেলে বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়েছিল মউ। এই বিকেলবেলাটা মউয়ের খুব প্রিয়। স্কুল থেকে ফিরে এই সময়টাই একটু অবসর। আবার তো সন্ধে থেকে বই নিয়ে বসে যেতে হবে। বিকেলবেলা ছাদে চলে আসে সে। যদিও এক তলা বাড়ির ছাদ, তবু চার পাশে বাড়িঘরের ভিড় সে রকম না থাকায় ছাদে উঠলে চতুর্দিক বেশ ভাল ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। ওই যে ওদের স্কুলটা। স্কুল ছাড়িয়ে মাঠ। মাঠের ও ধারে শুরু হয়ে গেছে ধানখেত। ধানখেতের আল ধরে ছুটতে ছুটতে যদি চলে যাওয়া যায় দূর আরও দূর, তা হলে চোখে পড়বে রেল লাইন। বাড়ির ছাদ থেকে অনেক দূরে প্রায় দিগন্তরেখায় ট্রেন চলে যাচ্ছে দেখা যায়। ধানখেতের মধ্যে মধ্যে ইলেক্ট্রিক তারের টাওয়ার লাইন দিয়ে চলে গেছে বহু দূর। লিখছেন পারমিতা মুখোপাধ্যায়সূর্যের ম্লান হলদে আলোয় মোড়া বিকেলে বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়েছিল মউ। এই বিকেলবেলাটা মউয়ের খুব প্রিয়। স্কুল থেকে ফিরে এই সময়টাই একটু অবসর। আবার তো সন্ধে থেকে বই নিয়ে বসে যেতে হবে। বিকেলবেলা ছাদে চলে আসে সে। যদিও এক তলা বাড়ির ছাদ, তবু চার পাশে বাড়িঘরের ভিড় সে রকম না থাকায় ছাদে উঠলে চতুর্দিক বেশ ভাল ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। ওই যে ওদের স্কুলটা। স্কুল ছাড়িয়ে মাঠ। মাঠের ও ধারে শুরু হয়ে গেছে ধানখেত। ধানখেতের আল ধরে ছুটতে ছুটতে যদি চলে যাওয়া যায় দূর আরও দূর, তা হলে চোখে পড়বে রেল লাইন। বাড়ির ছাদ থেকে অনেক দূরে প্রায় দিগন্তরেখায় ট্রেন চলে যাচ্ছে দেখা যায়। ধানখেতের মধ্যে মধ্যে ইলেক্ট্রিক তারের টাওয়ার লাইন দিয়ে চলে গেছে বহু দূর।

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

ধীরে ধীরে বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামে। সূর্যাস্তের লাল রঙ সারা আকাশ জুড়ে। পাখিরা সব নিজেদের মধ্যে কত কথা বলাবলি করতে করতে ঘরে ফিরে যাচ্ছে। এই সময়টা কেমন এক বিষণ্ণতা ছেয়ে আসে মনে।

ক্রিং ক্রিং...ক্রিং ক্রিং...ক্রিং ক্রিং...হঠাৎ সাইকেলের ঘন্টির আওয়াজে সম্বিৎ ফেরে মউয়ের। দূর দিগন্ত থেকে দৃষ্টিটা নেমে আসে নীচে। পার্থদা না! হ্যাঁ, পার্থদাই তো! উফফ, পার্থদাকে দেখলেই মউয়ের বুকের মধ্যে কেমন শিহরণ লাগে। কেন যে এমন হয়, কই আর কাউকে দেখলে তো এমন হয় না। পার্থদাকে খুব ভাল লাগলেও এখনও সে ভাবে কথা বলেনি কোনও দিন। পার্থদা মউয়ের থেকে দু’ব্যাচ সিনিয়র। মউ নাইন, পার্থদা ইলেভেন। এতক্ষণ খেয়াল করেনি মউ – পার্থদাকে দেখেই এমন বিহ্বল হয়ে পড়েছিল; পার্থদার সাইকেলের ক্যারিয়ারে পার্থদার বোন টুসি। মউয়ের সঙ্গেই পড়ে। মউদের বাড়ির সামনে নেমে কলিং বেল বাজাল টুসি। পার্থদা ততক্ষণে সাইকেল নিয়ে সাঁই সাঁই করে অনেক দূর।

মউ তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে নেমে আসে। টুসি তার বন্ধু; কাল সরস্বতী পুজো; কখন স্কুলে যাওয়া হবে; কি শাড়ি পরা হবে তাই নিয়ে কথা হবে বন্ধুর সাথে। মায়ের আলমারি ঘেঁটে ভাল দেখে একটা বাসন্তী রঙের শাড়ি বেছে রাখতে হবে। তার সঙ্গে ম্যাচ করে পোড়ামাটির গয়না।

‘কি রে টুসি, তোর শাড়ি ঠিক হল? কাকিমার হলুদ শাড়ি আছে না কি মায়ের একটা নিয়ে যাবি? মায়ের হলুদ শাড়ি অনেকগুলো আছে’।

‘না রে মউ, আমার মায়েরও হলুদ শাড়ি আছে। আমি মায়েরটাই পরব। শোন না, আজ আর বসব না রে। তুই ফিজিক্যাল সায়েন্সের রেফারেন্স বুক চেয়েছিলি। দাদার কাছে ছিল, নিয়ে এলাম তোর জন্য। দেখে টেখে পরে কোন এক সময় ফেরত দিস’।

বইটা দিয়ে আর দাঁড়ায় না টুসি। ‘চলি রে, কাল স্কুলে দেখা হবে’ বলেই বেরিয়ে যায় সে। সন্ধে হয়ে এসেছে। ঠাকুরঘরে মা শাঁখ বাজাচ্ছে। বইটা হাতে নিয়ে পড়ার টেবিলের সামনে বসে মউ। বইটা হয়তো রেখেই দিত পাশে। কিন্তু কি মনে করে ওল্টায় পাতাগুলো। পার্থদার বই। পার্থদার হাতের স্পর্শ লেগে আছে বইটায়। বইয়ের পাতা ওলটাতে ওলটাতে হঠাৎ বেরিয়ে আসে একটা সাদা কাগজ; তাতে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা ‘মউপিয়া, আগামীকাল সকালে স্কুলে অঞ্জলি হয়ে গেলে একবার নদীর ধারের খেয়াঘাটে এসো প্লিজ, কথা আছে - পার্থ’।

চিঠিটা পড়ে শঙ্কা, উদ্বেগ আর সেই সঙ্গে একটা প্রচণ্ড ভাললাগায় ভরে ওঠে মন। পার্থদা দেখা করতে বলেছে, উফফ, ভাবতেই পারছে না মউ। পার্থদা, পার্থদা, পার্থদা...মনে মনে নামটা বারকয়েক উচ্চারণ করে মউ। কিন্তু মা যদি দেখে ফেলে, তাড়াতাড়ি লুকিয়ে ফেলে চিঠি।

রাতে ভাল ঘুম হয় না। এপাশ ওপাশ করতে করতে খালি পার্থদাকে মনে পড়ে। একে কি প্রেম বলে? মউ কি প্রেমে পড়েছে?

পরদিন সকালবেলাটা অকারণে ভীষণ ভাল লাগে। আজ সরস্বতী পুজো। সকালের রোদটা যেন বেশি হলুদ লাগে। বাসন্তীরঙা শাড়ীতে আজ মউকে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে। ওর গমরঙা গায়ের রঙ ঐ শাড়ীর রঙে যেন আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। বাগানে ফুটে ওঠা একটা হলুদ গোলাপ শ্যাম্পু করা ফোলানো চুলে ক্লিপ দিয়ে এঁটে দেয় সে। ব্যস, আর কিচ্ছুটির দরকার নেই।

স্কুলে যেতেই মেয়েরা ছেঁকে ধরল, কি ব্যাপার মউ, এত তো সাজিস না কখনও? অঞ্জলি দেওয়ার সময় দেবী সরস্বতীর মুখের দিকে চেয়ে প্রার্থনা করল কেবল পার্থদার জন্যই। নিজের কিছু চাইবার কথা মনেই পড়ল না ওর। অঞ্জলি শেষ হতেই আর তর সয় না মউয়ের। কতক্ষণে রূপাই নদীর খেয়াঘাটে পৌঁছবে! বন্ধুদের কিছু একটা কৈফিয়ৎ দিয়ে নিজেকে দলছুট করে নেয় মউ। স্কুল থেকে খেয়াঘাট বেশি দূর নয়। প্রায় ছুটতে ছুটতে পৌঁছে যায় সে। ঐ তো পার্থদা; তার দিকেই তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। কি সুন্দর দেখতে পার্থদাকে! টল, হ্যাণ্ডসাম। আর চোখ দুটো? ঐ টানা টানা চোখদুটোর মধ্যে যে কি জাদু আছে! বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না! মনে হয় মনের একদম ভেতর অবধি পড়ে ফেলবে।

মউ এমনিতে খুব মুখচোরা। সত্যি কথা বলতে কি, পার্থদার চিঠি পেয়ে ও যে ছুটে এসেছে, এতে ও নিজেই খুব অবাক হয়ে গেছে। কি করে হল ওর এত সাহস।

পার্থদাই কথা বলল প্রথমে, ‘চলো, নদীর ধার ধরে ধরে হাঁটি’।

রূপাই নদীর তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে গিয়েছিল ওরা। সেই জেলেপাড়া অব্দি। কত কি বকবক করছিল দুজনে। মউয়ের জড়তা আস্তে আস্তে ভেঙেছিল।

সরস্বতী পুজোর সকালে হলুদ বসন্ত এসেছিল দুজনের জীবনে। কে বলে সরস্বতী শুধু বিদ্যারই দেবী? বসন্ত পঞ্চমীর দিন আকাশে বাতাসে ছড়ানো থাকে যে পবিত্র প্রেম; তা এই দেবীরই রূপকল্প।

...তারপর...তারপর কেটে গেছে কত দিন। যে প্রেম মউয়ের জীবনে ছিল শুভ্র, নবীন; তা ক্রমশঃ জীবনের ঘূর্ণিপাকে পুরনো হয়েছে, বহু ঘাত প্রতিঘাতে হয়েছে জীর্ণ। যৌবনের প্রান্তে দাঁড়িয়ে কি ভাবছে সে তার কিশোরীবেলার ফিকে হয়ে আসা স্মৃতির পাতা ওলটাতে ওলটাতে?

সেই মফস্্সল শহর, সেই স্কুল, সেই রূপাই নদীর তীর – এ সবের থেকে সে এখন অনেক অনেক দূরে। যত দূরেই থাক; তবু প্রতি বছর সরস্বতী পুজোর সকালগুলো অনেক গভীর অনুভব বয়ে নিয়ে আসে তার কাছে। জীবনের প্রথম প্রেম কি কখনও ভোলা যায়? না– ই বা থাকল এই পৃথিবীতে তার প্রথম প্রেমিক! চিরতরে হারিয়ে গিয়েই কি সে তার প্রেমকে স্বতন্ত্র করে রেখে গেল? এসব প্রশ্নের উত্তর আর খোঁজে না সে। কেবল এ জীবনে একবার শুধু একবার ফিরে যেতে চায় কোন এক সরস্বতী পুজোর সকালে রূপাই নদীর সেই খেয়াঘাটে। দেবী সরস্বতী কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না জীবনের প্রথম প্রেমকে; যে প্রেম পবিত্র, নিষ্কলুষ – কোন মূল্যের বিনিময়েই যে প্রেমকে কোনদিন বিকিয়ে দেওয়া যায় না। সারাটা দিন হয়তো কেটে যাবে তারই অপেক্ষায়; যদি সে ফিরে আসে; সারা আকাশ জুড়ে তারই দীঘল কালো আঁখির মায়াময় দৃষ্টি ঘিরে রাখবে তার নারীজীবনের অব্যক্ত বেদনাকে। সেদিনের পুজো না হয় হবে তার প্রেমেরই পুজো।

...সুধিজন, আমরা অনেকেই হয়তো ফেলে এসেছি এমনই পবিত্র কত সকাল সরস্বতী পুজোর বাসন্তী রঙে রাঙানো। ইচ্ছে করলেই আর সেই বাসন্তীরঙা দিনগুলোয় ফিরে যাওয়া যায় না। আসলে তখনকার সরস্বতী পুজোর দিনগুলো ছিল এখনকার ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ভালবাসার দিন। ভালবাসার দিনগুলো কি কখনও ভোলা যায়?

আবার আসছে আর একটা সরস্বতী পুজোর সকাল তেরোই ফেব্রুয়ারি আর তার পরদিনই তো চোদ্দই ফেব্রুয়ারি – ভ্যালেন্টাইন্স ডে। দেখবেন দুটো দিন মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে না তো? দুটোই যে ভালবাসার দিন! এ বার শেষ করার আগে মুম্বইয়ের কিছু অনুষ্ঠানের খবর দিয়ে দিই আপনাদের।

মুম্বইয়ের উত্তর শহরতলির নালাসোপারার এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘মঞ্জরী’। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ‘মঞ্জরী’র। সময়ের দীর্ঘ পথ বেয়ে নালাসোপারার গণ্ডী পেরিয়ে ‘মঞ্জরী’ পেশাদারী দক্ষতায় পরিবেশন করে চলেছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান – নৃত্যনাট্য, নাটক, শ্রুতিনাটক, গান ও আবৃত্তি। মুম্বই, থানে, নবী মুম্বই এমনকি দিল্লীতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মঞ্জরী’র অনুষ্ঠান। ‘মঞ্জরী’র তত্ত্বাবধানে রয়েছে নাচ ও গান শেখার স্কুল। আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি দাদারে শিবাজী পার্কের সামনে বীর সাভারকর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘মঞ্জরী’র দ্বাদশ বার্ষিক অনুষ্ঠান। এর প্রধান আকর্ষণ ‘আবহমানের নীলকণ্ঠী’ – নাচ, গান, আবৃত্তি ও অভিনয়ে গাঁথা এক কাহিনী। এই কাহিনীটি নারীকেন্দ্রিক। এর মূল ভাবনা আবর্তিত হয়েছে পৃথিবীর সমস্ত ধর্ষিতা নারীর যন্ত্রণাকে কেন্দ্র করে, বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষীতেও যা এক নগ্ন সত্য। বাস্তবিক, সেই প্রাচীনকাল থেকেই এটি একটি গভীর সামাজিক সমস্যা। বস্তুতঃ এই কাহিনির মাধ্যমে একটি সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কাহিনিকার অর্ঘ্য দত্ত, যিনি ‘মঞ্জরী’র কর্ণধার। এই নৃত্যনাট্যের বেশিরভাগ গানের রচয়িতাও অর্ঘ্য দত্ত এবং তাতে সুর দিয়েছেন তমশ্রু চন্দ্র। গান গাইবেন মুম্বইয়ের খ্যাতনামা শিল্পীরা - সূর্য ভট্টাচার্য, তমশ্রু চন্দ্র, সুদীপ্ত চক্রবর্তী, মালা রায়চৌধুরি, মহুয়া বসু, মঞ্জিমা গোস্বামী এবং সুকন্যা ব্যানার্জী। নৃত্য পরিচালনায় নূপুর দত্ত। নৃত্যে অংশ নেবেন নূপুর দত্ত, মধুপর্ণা কুমার, নীলেশ সিংহ, অজয় কদম, সোমাংকা ভট্টাচার্য, অরিন্দম দে, অয়ন চ্যাটার্জী, নিবেদিতা প্রমুখ শিল্পীরা। ভাষ্যপাঠ ও সঞ্চালনায় বাচিক শিল্পী তাপস মাইতি। এই নৃত্যনাট্যটি ছাড়াও থাকবে পুরাতনী গান। অংশগ্রহণে সুদীপ্ত চক্রবর্তী এবং গৌতম ব্যানার্জী।

নবী মুম্বইয়ের পানভেলে ৬ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নাট্যোৎসব; জানালেন রঙ্গনাথ মুখার্জী। মূলত পানভেল বেঙ্গলি সাংস্কৃতিক সংস্থা, ওএনজিসি, নবী মুম্বইয়ের উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই নাট্যোৎসব। এর সঙ্গে যুক্ত আছে পানভেলের আরো কিছু সংস্থা – মিলন তীর্থ, নিউপানভেল (ইস্ট), খাণ্ডেশ্বর বেঙ্গলি এ্যাসোসিয়েশন, খাণ্ডা কলোনী, নিউ পানভেল (ওয়েস্ট) এবং কৃষ্টি, নিউ পানভেল (ইস্ট)। নাট্যোৎসবটি শুরু হবে পানভেলের আদ্য ক্রান্তিবীর বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কে অডিটোরিয়ামে বিকেল সাড়ে চারটেয়। দুটি নাটক অভিনীত হবে এখানে। প্রথম নাটকটির নাম ‘থিম থিম থিম’। পরিবেশনায় পানভেল বেঙ্গলি সাংস্কৃতিক সংস্থা। নাটকটির উপজীব্য হল পশ্চিমবঙ্গে কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া ‘আয়লা’ ঝড় বিধ্বস্ত মানুষের দুর্দশা। নাটকটি লিখেছেন সংঘমিত্রা চক্রবর্তী। সম্পাদনা ও মঞ্চ উপস্থাপনা আশিস সাহা। দ্বিতীয় নাটকটির নাম ‘গোপন সত্য’। পরিচালনায় ‘দিশারী’। এটি একটি থ্রিলার। মূল কাহিনি ডেভিড অসবর্নের লেখা ‘চেস আ ক্রুকেড শ্যাডো’। বাংলায় নাট্যরূপ দিয়েছেন গৌতম রায়। সম্পাদনা ও মঞ্চ উপস্থাপনায় দীপায়ন গোস্বামী।

তা হলে ফেব্রুয়ারির প্রথমে যখন শীত দূরগামী ও বসন্ত জাগ্রত দ্বারে তখনই এইসব অনুষ্ঠান এবং তার পর সরস্বতী পুজো, ভ্যালেন্টাইন্স ডে। সুধিজন আপনাদের মন ভরে উঠবে নিশ্চই। মন তো ভরবেই, কারণ জীবনে আরও একটা বসন্ত যে আসতে চলেছে। জীবনের পথে চলতে চলতে যত ঝড়ঝঞ্ঝাই আসুক, তবু জীবন বড় সুন্দর – জীবন এক চলমান উৎসব। জীবনের প্রতিটি দিন যেন বসন্তের মাধুর্যের মতই চিরকাল আমাদের কাছে ধরা দিক। জীবনের দিনগুলো তো একটা একটা করে ঝরে যাবেই। কিন্তু মন যেন সজীব থাকে। চিরবসন্ত যেন জাগ্রত থাকে মনের মাঝখানে। তাহলেই বড়ো হব, ‘বুড়ো’ হব না। নানারঙের ফুল, প্রজাপতি – এই পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গানের মধুময় সুর, আকাশে রামধনুর সাত রঙ এক অপূর্ব মায়ায় ঘিরে থাকুক আমাদের। জীবনটা থাক এক মনোরম স্বপ্ন হয়ে। দুঃখ দুর্দশার মাঝেও যেন এই স্বপ্নগুলো জীবন থেকে হারিয়ে না যায়। তাহলেই এই পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে থাকব একটা সুন্দর বাসন্তী মন নিয়ে বাঁচব। সকলকে নিয়ে বাঁচব, সকলের জন্য বাঁচব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

paromita mukhopadhay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE