বান্ধবী জেরায় জানিয়েছেন, সহবাসের সময় মৃগী আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রৌঢ়। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।
বেঙ্গালুরুর রাস্তায় পড়েছিল প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা এক প্রবীণের দেহ। ১৭ নভেম্বরের ঘটনা। কী ভাবে এল সেই দেহ? মৃত্যুর কারণই বা কী? তদন্তে নেমে চোখ কপালে পুলিশের। জানা গিয়েছে, বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাসের সময় মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৬৭ বছরের প্রবীণের। ভয়ে আত্মীয়দের সাহায্য নিয়ে দেহটি রাস্তায় ফেলে দিয়ে যান সেই মহিলা।
তদন্তে নেমে মৃতের পরিচয় খুঁজে বার করে পুলিশ। তাঁর মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে জানতে পারে, বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের স্বার্থেই মৃত প্রবীণ এবং তাঁর বান্ধবীর নাম প্রকাশ করেনি বেঙ্গালুরু পুলিশ।
তদন্তকারী আধিকারিকের কথায়, ‘‘বেঙ্গালুরুতেই ৩৫ বছরের এক বধূর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ৬৭ বছরের ওই ব্যবসায়ীর। ১৬ নভেম্বর বিকেল ৫টা নাগাদ মহিলার বাড়িতে যান তিনি। সহবাসের সময় ওই মহিলার বিছানাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। ভয় পেয়ে যান মহিলা। ভাবেন, জানাজানি হলে বদনাম হবে। তাই স্বামী এবং ভাইকে ডেকে পাঠান। তিন জনে মিলে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দেহটি জেপি নগরের ফাঁকা এলাকায় ফেলে দেন।’’
পুলিশের জেরার মুখে ওই মহিলা স্বীকার করেন, তাঁর বাড়িতে এসে মৃগী আক্রান্ত হন, সেখানেই মারা যান ওই ব্যক্তি। লোকের ভয়ে দেহ ফেলে দিয়ে আসেন। মৃতের পরিবারের সদস্যদেরও জেরা করেছে পুলিশ। ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৬ নভেম্বর বাড়ি থেকে বার হওয়ার সময় ওই প্রবীণ জানিয়েছিলেন পুত্রবধূর বাড়িতে যাচ্ছেন। রাতে ফিরে না আসায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। প্রবীণের একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল। গত অগস্টে অ্যাঞ্জিওগ্রাম হয়েছিল তাঁর।’’
১৯ নভেম্বর ১৭৬ (সরকারি কর্মীকে তথ্য গোপন)-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা ঠিক কথা বলছেন কিনা, রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy