স্বামী পেশায় চিকিৎসক। শ্বশুর অধ্যাপক। এ হেন উচ্চশিক্ষিত পরিবারে বিয়ে দেওয়ার জন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল কনের পরিবারকে। যৌতুক বাবদ ঢালাও খরচও করা হয়েছিল। এ বার আরও পণের দাবিতে সেই বধূকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে গোবর্ধন নামে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা এক চিকিৎসকের সঙ্গে বেশ জাঁকজমক করেই বিয়ে হয়েছিল নির্যাতিতা বধূর। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে নানা ভাবে পণের দাবিতে তাঁকে চাপ দিতে শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এফআইআর-এ ওই মহিলা লিখেছেন, বিয়েতে তাঁর বাবা-মা সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে দামি সোনা-রূপার গহনা এবং যৌতুকের সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন। বিয়েতে মোট ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিল ওই পরিবার। সোনার হাতব্যাগ, গলার চেন, আংটি-সহ নানা উপহার দেওয়া হয়েছিল বরকেও। বিয়ের পর নবদম্পতি বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে উচাঙ্গির কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সেই থেকে শুরু হয় নির্যাতন।
আরও পড়ুন:
দাবি, বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যেই গোবর্ধন শ্বশুর-শাশুড়ির সম্পত্তির অর্ধেক ভাগ চেয়ে স্ত্রীকে চাপ দিতে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, দাবি করেন, প্রতি মাসের ঘরভাড়ার টাকাও দিতে হবে স্ত্রীর বাবা-মাকেই। বধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামী রোজই গভীর রাতে কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরতেন। তাঁর সঙ্গে কোনও কথা বলতেন না। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত শুধু স্বামীই নয়, শ্বশুর তথা অধ্যাপক নাগারাজুও তাঁকে নিয়মিত মারধর করা শুরু করেন বলে অভিযোগ। পণের দাবিতে বধূর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। আর এ সমস্তই ঘটে যুবতীর স্বামীর সামনেই। শ্বশুরের বিরুদ্ধে অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা। এ ছাড়া, পণের দাবিতে হেনস্থার মামলাও দায়ের করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।