ছবি: এপি।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও ‘পর্দার আড়াল’ থেকে কেউ সেখানে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। সেনাপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘পর্দার আড়াল থেকে কেউ কেউ জঙ্গিদের হয়ে কাজ করছে। এদের কিছু আছে পাকিস্তানে, কিছু পাকিস্তানের বাইরে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে।’’
উপত্যকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করলেও সেখানে যে অধিকাংশ পড়ুয়াই এখনও স্কুলমুখী হচ্ছে না সে কথা আজ মেনে নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। আজ প্রশাসন সূত্রেই দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপত্যকায় স্কুলমুখী হয়েছে মাত্র ২০% পড়ুয়া। জম্মুতে অবশ্য ১০০% পড়ুয়াই স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। কাশ্মীরে স্কুলে হাজিরা দিচ্ছেন ৮৬.৩% শিক্ষক। জম্মুতে শিক্ষকদের হাজিরাও ১০০%। প্রশাসন সূত্রের দাবি, রাজ্যে ১৮ অক্টোবর থেকে ১,০২,০৬৯টি ল্যান্ডলাইনই চালু হয়ে গিয়েছে। চালু হয়েছে মোট মোবাইল সংযোগের ৮৪%। চলতি সপ্তাহেও কাশ্মীরে অধিকাংশ দোকানপাটই ছিল বন্ধ। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়াও আজ চলাচল করেছে কিছু ট্যাক্সি ও অটো।
এরই মধ্যে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ৫ অগস্টের পর থেকে কাশ্মীরে জঙ্গি ও জঙ্গিদের সমর্থকদের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ রাখে পাকিস্তান। অগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার মারাত্মক হারে বাড়ে।
ওই এলাকায় কিছু এফএম স্টেশনের মাধ্যমেও জঙ্গিরা পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে জানান গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy