মলাইকা আরোরা তাঁর দিন শুরু করেন জিরে-জোয়ান-মৌরি ভেজানো জল খেয়ে। ঘণ্টাখানেক পরে বিভিন্ন শাকসব্জি দিয়ে তৈরি তাঁর প্রিয় ‘রেটিনল জ্যুস’-ও খান। ৫২ বছর বয়সে তাঁর ত্বকের টানটান ঝলমলে ভাবের জন্য এটুকু করতেই হয়।
৪৫ বছর বয়সি গ্ল্যামারকুইন করিনা কপূর খান যে ডিটক্স পানীয়ের উপর ভরসা করেন, তাতে থাকে পাতিলেবু, বিটনুন, আদা এবং কয়েকটি জাফরান।
আলিয়া ভট্ট এখন ৩২। কম বয়সের টানটান উজ্জ্বল ত্বক স্বাভাবিক ভাবেই রয়েছে তাঁর। তবু তাঁর পুষ্টিবিদ বিভিন্ন ধরনের সুপারফুড, ফল, শাকসব্জির রস দিয়ে একটি বিশেষ পানীয় তৈরি করে দেন আলিয়ার জন্য। শরীরের বিপাকের হার ভাল রাখার পাশাপাশি ওই পানীয় আলিয়া খান ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্যও।
মাধুরী দীক্ষিত বয়সে এঁদের সকলের থেকেই অনেকখানি বড়। তিনি এখন ৫৮। তবে গালে টোল ফেলা হাসিতে, নাচের বিভঙ্গে তো বটেই, গ্ল্যামারেও একালের নায়িকাদের টক্কর দেন এখনও। তবে মাধুরী তাঁর উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কোনও বিশেষ ডিটক্স পানীয় খান না। অভিনেত্রী জানিয়েছেন তাঁর রূপের রহস্য কোনও ফেসপ্যাক, খাবার বা পানীয় নয়। মাধুরীর মতে, সৌন্দর্য ত্বকে নয়, বসত করে মনে। আর মন যদি ঠিক না থাকে, তবে হাজার রূপটান, ডায়েটের বদল, আধুনিক প্রসাধনী দিয়ে পরিচর্যা করেও সুন্দর দেখাবে না।
এক পডকাস্টে তাঁর সৌন্দর্যের রহস্য জানতে চাওয়ায় ষাট ছুঁই ছুঁই নায়িকা বলেন, ‘‘মনের ভিতরটা কেমন, তার প্রতিফলন পড়ে মুখেও। তাই সুন্দর হতে হলে শুধু মুখে রূপটান, ক্রিম, লোশন মাখলেই চলবে না। চেষ্টা করতে হবে সঠিক জায়গায়। মন যদি শান্ত থাকে, জীবনবোধ যদি উন্নত হয়, তবে তার ছাপ পড়বে আপনার সৌন্দর্যেও।’’
মাধুরী তাই নিয়ম করে ধ্যান করেন। জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখার চেষ্টা করেন। নায়িকা বলছেন, ‘‘আমি মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালবাসি। আমার আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের জীবনের গল্প শুনি। মনের মধ্যে কোনও খারাপ ভাবনাচিন্তাকে টিকতে দিই না। আমার মনে হয়, এগুলোই আমার মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। আর তাতেই ত্বককে ভাল রাখার অর্ধেক কাজ হয়ে যায়।’