বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোটের শরিক হিসেবে নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই রাজ্যের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধরি মাথায় পাগড়ি জড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, নীতীশকে গদিচ্যুত করে তবেই সেই পাগড়ি খুলবেন তিনি। প্রায় বছর দুয়েক আগের সেই প্রতিজ্ঞা ‘পূরণে’র আগেই নীতীশ ফের বিজেপি-সঙ্গী! শুধু তা-ই নয়, সম্রাটও এখন নীতীশের ডেপুটি, অর্থাৎ উপমুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নীতীশের সমর্থন ছাড়া কেন্দ্রে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়াও সম্ভব হত না নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে। এই অবস্থায় সম্রাটকে মাথায় পাগড়ি চাপিয়েই ঘুরতে হচ্ছিল। কিন্তু অবশেষে সেটা তিনি উৎসর্গ করলেন অযোধ্যার রামমন্দিরকে। তার পরে মাথা কামিয়ে সরযূর জলে ডুব দিয়ে পুজোও দিলেন।
এটা কি পাপস্খালন? সম্রাটের যুক্তি, মোটেই তা নয়। ২২ মাস আগে মাথায় পাগড়ি চাপিয়ে এ বারে তা রামচন্দ্রকে উৎসর্গ করে মাথা কামানোর পিছনে অন্য যুক্তি দিচ্ছেন তিনি। সম্রাট বলেছেন, ‘‘এটা ঠিকই যে, নীতীশকে গদিচ্যুত করার প্রতিজ্ঞা নিয়েই আমি মাথায় পাগড়ি চাপিয়েছিলাম। কিন্তু যে হেতু তিনি মহাগঠবন্ধন ছেড়ে আবার এনডিএ জোটে ফিরে এসেছেন, তাই এ বার রামের চরণে এটা উৎসর্গ করার সময় এসে গিয়েছে। নীতীশজি যে দিন ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে এনডিএ জোটে ফিরে আসেন, আমি সে দিনই বলেছিলাম, আমার পাগড়ি আমি শ্রীরামের চরণে নিবেদন করব।”
পাগড়ি, নিবেদন, মস্তক মুণ্ডন, সরযূ স্নান, পুজো— এক যাত্রায় অযোধ্যায় বিস্তর কাজ সেরেছেন সম্রাট। কিন্তু সব ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে তাঁর পাগড়ি বিসর্জন। বিহারে বিরোধী জোটের একটি অংশ অবশ্য মনে করছে, সম্রাটের এই অযোধ্যা সফরের পিছনে অন্য অঙ্ক থাকাও বিচিত্র নয়। চলতি সফরে উত্তরপ্রদেশের একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)