বিহার ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (এসআইআর) নিয়ে জাতীয় রাজনীতি সরগরম। উত্তাল হয়েছে সংসদও। বিজেপির দাবি, ‘সাফাই’ চলছে। কংগ্রেস বলছে, ‘জবাই হচ্ছে গণতন্ত্র’। বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বক্তব্য, ‘ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র’। এই আবহে প্রথম দফার সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। বিহারে ভোটার তালিকা থেকে কী কারণে কত জন বাদ পড়তে চলেছেন, এ বার তা পরিসংখ্যা দিয়ে জানাল নির্বাচন কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে, বিহারে মোট ৭ কোটি ২৪ লক্ষ ফর্ম বিলি করা হয়েছিল প্রথম দফার সমীক্ষার জন্য। সংখ্যাটা মোট ভোটারের ৯১.৬৯ শতাংশ। কমিশন আগেই জানিয়েছিল, অন্তত ৫৬ লাখ ভোটার বাদ পড়তে চলেছে বিহারে। এ বার তার হিসাব দিল কমিশন। তারা জানাল, কেউ অন্যত্র চলে গিয়েছেন। আবার অনেককে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তাঁদের সকলকেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের হিসাব, ৩৬ লক্ষ ভোটার তাঁদের পুরনো ঠিকানা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বর্তমানে স্থায়ী ভাবে অন্যত্র থাকেন তাঁরা। সেই সব রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটার হয়ে গিয়েছেন। অনেকের সঙ্গে আবার যোগাযোগই করা যায়নি। সাত লাখ এ রকমও ভোটার রয়েছেন, যাঁদের একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত রয়েছে।
গত ২৫ জুলাই বিহারে ভোটার তালিকার প্রথম দফার সংশোধনের কাজ শেষ হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে অনেকে ফর্ম ফিল আপ করে ফেরত দেননি। আবার অনেকে কোনও না কোনও কারণে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চাননি।
কিন্তু মোট কত জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে চলেছে, তা সমস্ত ফর্ম যাচাই করে ১ অগস্টের মধ্যে জানানো হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ-ও জানিয়েছে, যাঁরা নিজেদের বৈধ ভোটার মনে করেন এবং তার পরেও নাম বাদ গেলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সময়সীমা হবে এক মাস। ১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।