ডাক্তারি পাশ করলেই চাকরির সুযোগ বিহারে।—প্রতীকী ছবি।
লিখিত পরীক্ষার বালাই নেই। দিতে হবে না ইন্টারভিউ-ও। শুধুমাত্র ডাক্তারি পাশ করলেই চলবে। তাহলেই ডেকে চাকরি দেবে বিহার সরকার। রাজ্য জুড়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তার আগে, এমন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, আগামী তিনমাসের মধ্যে ৩ হাজার ১০০ ডাক্তার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার স্বাস্থ্য দফতর। স্নাতকস্তরে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই তাঁদের নিয়োগ করা হবে।
এতদিন বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)-এর মাধ্যমে ডাক্তার নিয়োগ হত বিহারে। কয়েক মাস আগে তাতে পরিবর্তন ঘটায় নীতীশ কুমারের সরকার। বিপিএসসি-র বদলে ডাক্তার নিয়োগের দায় বর্তায় বিহার টেকনিক্যাল কমিশন (বিটিসি) -এর ঘাড়ে। তার পরই ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা ছাড়া, শুধুমাত্র স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ডাক্তার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যোগ্যতার বিচার ছাড়া এ ভাবে ডাক্তার নিয়োগের সমালোচনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে সে সব কানে তুলতে নারাজ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে। তাঁর যুক্তি, “স্নাতকস্তরের ডাক্তারি অথবা ডেন্টাল কোর্সে ভর্তি হতে প্রথমে অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা (নিট)পরীক্ষায় বসতে হয়। সাড়ে চার বছরে কমপক্ষে ন’টি পরীক্ষা দিতে হয়। তবেই ডাক্তার হওয়া যায়। যোগ্যতা বিচারে তা কি যথেষ্ট নয়?”
আরও পড়ুন: ২০১৯-এ নতুন প্রধানমন্ত্রী দেখবে ভারত: চন্দ্রবাবু নাইডু
আরও পড়ুন: লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার, স্পটারস্কোপের নজরদারিতে ব্রিগেডের মঞ্চে রইলেন সব নেতা
শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। সামনের বছর আবার রাজ্য নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখেই নীতীশ কুমারের সরকার সাত তাড়াতাড়ি সরকারি হাসপাতালগুলিতে ডাক্তারের ঘাটতি মেটাতে চাইছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ঘাটতির কথা মেনে নিলেও, সরকারি হাসপাতাল ও চিকিত্সাকেন্দ্রগুলিতে ডাক্তারের সংখ্যায় ঠিক কতটা ঘাটতি রয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি মঙ্গল পাণ্ডে। তবে বিহার স্বাস্থ্য পরিষেবা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, রঞ্জিত কুমারের দাবি, রাজ্যে ডাক্তারের সংখ্যায় ৭০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। সেই কারণেই ইন্টারভিউ এবং লিখিত পরীক্ষার ঝামেলায় না গিয়ে, যেন তেন প্রকারে শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টা চলছে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, “জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক চিকিত্সাকেন্দ্র এবং চিকিত্সা পরিষেবার অন্তর্গত অন্যান্য ক্ষেত্রে ১১ হাজার ৩৯৩টি পদ রয়েছে। এই মুহূর্তে ২ হাজার ৭০০ ডাক্তার কর্মরত। অর্থাত্ ৭০ শতাংশ পদই খালি পড়ে রয়েছে। তুলনায় মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিস্থিতি মন্দের ভাল। সেখানে ৬৫ শতাংশ পদ খালি পড়ে রয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, প্রতি এক হাজার জনসংখ্যা পিছু একজন ডাক্তার প্রয়োজন। ১৯৮৩ সালে ভারতে সরকার প্রথম স্বাস্থ্য বিল আনে। তাতে প্রতি সাড়ে ৩ হাজার জনসংখ্যা পিছু একজন ডাক্তার রাখা হবে বলে স্থির হয়। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, প্রতি ৫০ হাজার জনসংখ্যায় একজন ডাক্তার পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy