কোথায় চুল প্রতিস্থাপন করানো হয় তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করতেই পাটলিপুত্রে একটি ক্লিনিকের খোঁজ পান। চুল প্রতিস্থাপনের জন্য গত ৯ মার্চ মনোরঞ্জন ওই ক্লিনিকে যান।
মনোরঞ্জন পাসওয়ান।
টাক থাকা বা চুল কমে যাওয়ার দরুণ আমরা অনেকেই হীনমন্যতায় ভুগি। এ নিয়ে অনেক সময় রসিকতার শিকারও হতে হয়। তার পর যদি বিয়ের প্রসঙ্গ আসে, তা হলে তো কথাই নেই! অনেকেই তখন মরিয়া হয়ে চুল প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। যাতে বিয়ের আসরে তাচ্ছিল্যের মুখোমুখি হতে হয়। সে রকমই একটি সিদ্ধান্ত এক যুবকের প্রাণ কেড়ে নিল। তা-ও বিয়ের ঠিক আগেই।
বিয়ে ঠিক হয়েছিল পটনার শেখপুরার যুবক মনোরঞ্জন পাসওয়ানের। ১১ মে মনোরঞ্জনের বিয়ের দিন স্থির হয়। তাঁর মাথায় কম চুল থাকায় বিষয়টি নিয়ে একটু বিব্রতই ছিলেন পুলিশকর্মী মনোরঞ্জন। বিয়ে স্থির হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে ভাবনাচিন্তাও শুরু করেন। সিদ্ধান্ত নেন চুল প্রতিস্থাপনের।
কোথায় চুল প্রতিস্থাপন করানো হয় তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করতেই পাটলিপুত্রে একটি ক্লিনিকের খোঁজ পান। চুল প্রতিস্থাপনের জন্য গত ৯ মার্চ মনোরঞ্জন ওই ক্লিনিকে যান। সেখানে চুল প্রতিস্থাপন করানোর পর বাড়ি ফিরে আসেন। মনোরঞ্জনের ভাই গৌতম জানান, বাড়ি ফেরার পরই মনোরঞ্জনের মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। বুকে জ্বালা অনুভব করেন।
কেন এমন হচ্ছে তা জানতে পর দিন আবার ওই ক্লিনিকে যান মনোরঞ্জন। সেখানে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই ক্লিনিকের কর্মীরাই মনোরঞ্জনকে অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। ১১ মার্চ সকালে মনোরঞ্জনের মৃত্যু হয়। গৌতমের অভিযোগ, মনোরঞ্জনের মৃত্যুর খবর জানার পরই তাঁর চুল প্রতিস্থাপনের সমস্ত নথি নিয়ে ওই ক্লিনিকের মালিক এবং কর্মীরা বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। মৃতের পরিবার ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। চুল প্রতিস্থাপনের চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ক্লিনিকের মালিকের সন্ধানেও তাল্লাশি চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy