ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরে যাত্রিবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষে আগেই আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এ বার আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সরকারি সূত্রে খবর, বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ছত্তীসগঢ়ের বিষ্ণু দেও সাইয়ের সরকার। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদেরকেও ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বিকেলের ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন এখনও চিকিৎসাধীন। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিলাসপুরের জেলাশাসক সঞ্জয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, আহতদের কয়েক জনকে ছত্তীসগঢ় ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (সিআইএমএস)-এ ভর্তি করানো হয়েছে। বিলাসপুরের ইন্সপেক্টর জেনারেল সঞ্জীব শুক্ল জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে চার জন মহিলা এবং চার জন পুরুষ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ফলে ভিতরে আরও কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ গেবরা রোড এবং বিলাসপুরের মাঝে লালখাদানের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্রিবাহী ট্রেনটি সে সময় বিলাসপুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি যে লাইনে ছিল, সেখানে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তখনই লোকাল ট্রেনটি পিছন থেকে এসে সজোরে মালগাড়িতে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের অভিঘাতে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় যাত্রিবাহী ট্রেনটির একাংশ। দুমড়েমুচড়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিন। কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুতও হয়। তবে ঠিক কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ করতে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (সিআরএস) পর্যায়ে তদন্ত হবে।