সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের। শুক্রবার ১০ জনপথে। —নিজস্ব চিত্র।
প্রবল বিতণ্ডার মধ্যেও সৌজন্যের এক ঝলক সুবাতাস।
নোটযুদ্ধে সংসদ তখন একেবারে তেতে আছে। দুই শিবিরের বাগযুদ্ধের পর প্রথম দফায় মুলতুবি হয়েছে লোকসভার অধিবেশন। রাহুল গাঁধী বলার সুযোগ চেয়েও পাননি। এমন সময়েই লোকসভায় প্রবেশ সনিয়া গাঁধীর। আজ তাঁর জন্মদিন। সত্তরে পা দিলেন। গোলাপি শাড়ি পরা সনিয়াকে আসতে দেখেই কংগ্রেসের ছোট-বড় নেতারা ঘিরে ধরলেন তাঁকে। কিন্তু ভিড়ের ফাঁক দিয়ে সনিয়া তত ক্ষণে দেখতে পেয়েছেন শাসক শিবিরের প্রথম সারিতে লালকৃষ্ণ আডবাণী, অরুণ জেটলি, মনোহর পর্রীকরকে।
কংগ্রেস নেতাদের পাশ কাটিয়েই সনিয়া সটান চলে এলেন শাসক শিবিরে। প্রথমেই আডবাণীর কাছে গিয়ে বললেন, ‘‘সকালে ফোন করেছিলেন। আমি সেই সময় ধরতে পারিনি। অনেক ধন্যবাদ শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।’’
সদ্য দু’দিন আগেই সংসদের অচলাবস্থা দেখে লোকসভায় দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন আডবাণী। আজ এমন সময় সনিয়া তাঁর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে এলেন, যখন রাহুল গাঁধী লোকসভায় বলতে চাইছেন, অথচ বিজেপি বলতে দিচ্ছে না। তা নিয়ে বিরক্ত আডবাণীও। কিন্তু সনিয়াকে আসতে দেখে উঠে দাঁড়ালেন তিনি। জেটলিও। নমস্কার-প্রতি নমস্কার পর্বের পরে সকলে চলে গেলেন নিজের নিজের আসনে।
কিন্তু শাসক শিবিরে সনিয়া আসার পরেই গোটা কক্ষে জানাজানি হয়ে গেল, আজ তাঁর জন্মদিন। তার পর সব দলের নেতারাই একে একে সনিয়ার কাছে গেলেন তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে। তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়রা যেমন ছিলেন, সিপিএমের মহম্মদ সেলিমও গেলেন। বাদ যাননি বিজেপির সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া, অনন্ত কুমার থেকে হেমা মালিনীও। অধিবেশন মুলতুবির ফাঁকে কিছুক্ষণের জন্য স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের ঘরে গিয়েও ঘুরে এলেন সনিয়া। তাই দেখে অবশ্য সৌজন্যের সুর সামান্য কাটল। বিজেপির কিছু নেতা প্রচার করতে শুরু করেন, রাহুলকে বলতে দেওয়ার অনুরোধ করতেই গিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, আডবাণীর মতো স্পিকারকেও ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলেন সনিয়া।
এর আগে সকালেই নরেন্দ্র মোদী টুইটারে সনিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রেখেছিলেন। সনিয়ার জন্মদিন পালন করতে তাঁর বাসভবনে ভিড় করেছিলেন কংগ্রেসের ওজনদার নেতারাও। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘অসুস্থতার পর সনিয়ার প্রথম জন্মদিন। ফলে আমাদের কাছে এটি বিশেষ মুহূর্ত।’’ রাহুল-ব্রিগেডের তরুণ নেতাদের অবশ্য সেখানে দেখা যায়নি।
মনমোহন সিংহ, এ কে অ্যান্টনি, পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংহ, মতিলাল ভোরা, কমল নাথ, গুলাম নবি আজাদের মতো নেতারাই পৌঁছন দশ জনপথে। সকলের সঙ্গে গ্রুপ ছবিও তোলেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy