বিজেপি নেতা তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। ছবি: পিটিআই।
সন্দেশখালির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’কে এক বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানাল বিজেপি।
সন্দেশখালি-কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে কেন মমতা এখনও রক্ষা করছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর প্রশ্ন, এত কিছুর পরেও শাহজাহান অধরা! কিসের জন্য মমতা ওই অভিযুক্তকে এ ভাবে আড়াল করে যাচ্ছেন! ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা কেন সন্দেশখালি নিয়ে চুপ করে রয়েছেন সে প্রশ্নও তুলেছেন এই বিজেপি সাংসদ।
বিজেপি নেতৃত্বের মতে, প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া শাহজাহানের এত দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকা সম্ভব নয়। রবিশঙ্কর এ ক্ষেত্রে সরাসরি আঙুল তুলেছেন মমতার দিকে। তাঁর কথায়, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনা মানবতার লজ্জা। যে ভাবে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে তা সমাজ ও গণতন্ত্রের পক্ষে নিন্দনীয়। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের রক্ষা করে চলেছেন মমতা। জনতা এর যোগ্য জবাব রাজনৈতিক ভাবে মমতাকে দেবেন।’’
সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ‘ইন্ডিয়া’ নীরব বলে অভিযোগ রবিশঙ্করের। তাঁর কথায়, ‘‘শুনেছি সিপিএমের এক মহিলা নেত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিপিএম এখনও বিবৃতি দিয়ে প্রকাশ্যে সন্দেশখালি ঘটনার নিন্দা করেনি। রাহুল গান্ধী যিনি সব বিষয়ে মুখ খুলে থাকেন, তিনি এ নিয়ে এখন নীরব কেন? সনিয়া গান্ধী, অরবিন্দ কেজরীওয়াল সকলে চুপ। এটা ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়।’’ ওই বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘শুধু ক্ষমতায় ফেরার লোভে অন্যায় দেখেও মুখ বন্ধ রেখেছে ইন্ডিয়ার শরিকেরা।’’
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি নিয়ে প্রথম থেকে রাস্তায় নেমেছে সিপিএম। তাদের এক প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বাও সন্দেশখালি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
নারীসুরক্ষার স্বার্থে এক ছাতার তলায় যে একগুচ্ছ প্রকল্প চলছে, তা চালু রাখার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তা নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সন্দেশখালির উদাহরণ টেনে জানিয়েছেন, এই প্রকল্প সন্দেশখালির মতো ঘটনা রুখতে সহায়ক হবে।
ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি সফর করে আসা জাতীয় তফসিলি জনজাতি কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে। এ নিয়ে সরকার কিছু ভাবছে কি না সে প্রশ্নের উত্তরে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা কংগ্রেসের মতো যখন যে রাজ্যে ইচ্ছে সেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করি না।’’ আর গত কাল খালিস্তান সংক্রান্ত যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি রবিশঙ্কর। বলেছেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই জবাব দিয়ে দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy