E-Paper

অঙ্কিতা খুনে এ বার নাম কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার

অঙ্কিতাকে ২০২২ সালে হত্যা করা হয়েছিল। ওই মামলার আসামিরা যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে জেল খাটছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৪

— প্রতীকী চিত্র।

উত্তরাখণ্ডে অঙ্কিতা ভান্ডারী হত্যাকাণ্ডে নাম জুড়ে গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত গৌতমের। অভিযোগ, হৃষীকেশের একটি রিসর্টের রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতাকে ‘একস্ট্রা সার্ভিস’ না দেওয়ার ‘অপরাধে’ খুন করে ওই রিসর্টের মালিক-ম্যানেজার। সম্প্রতি একটি ভিডিয়োয় এক বিজেপি নেতার স্ত্রী দাবি করেন, যিনি ওই ‘একস্ট্রা সার্ভিস’ চেয়েছিলেন, তিনি বিজেপি নেতা দুষ্মন্ত গৌতম। উত্তরাখণ্ডের স্বরাষ্ট্রসচিবকে গতকাল চিঠি লিখে ওই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দুষ্মন্ত। প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি নেতৃত্ব এ নিয়ে মুখে কুলুপ দিয়েছেন।

অঙ্কিতাকে ২০২২ সালে হত্যা করা হয়েছিল। ওই মামলার আসামিরা যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে জেল খাটছে।

গত রবিবার নিজেকে হরিদ্বারের জ্বালাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সুরেশ রাঠৌরের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঊর্মিলা সানাওয়ার নামে এক মহিলা সমাজমাধ্যমে দাবি করেন, অঙ্কিতার কাছ থেকে ‘বাড়তি কিছু পরিষেবা’ চেয়েছিলেন ‘গাট্টু’ নামের এক ব্যক্তি। ঊর্মিলার দাবি, গাট্টু হলেন বিজেপি নেতা দুষ্মন্ত গৌতম। কিন্তু অঙ্কিতা রাজি না হওয়ায়, উপরন্তু সমস্ত কুকীর্তি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখালে অঙ্কিতাকে হত্যা করে স্থানীয় চিলা খালে ফেলে দেয় রিসর্টের মালিক পুলকিত আর্য। সে রাজ্যের বিজেপি মন্ত্রী বিনোদ আর্যের ছেলে। ওই ঘটনায় পুলকিত-সহ আরও তিন জন গ্রেফতার হয়।

কাকে ‘পরিষেবা’ না দেওয়ায় অঙ্কিতাকে খুন হতে হল, ঘটনার প্রায় তিন বছর পরে সেই নাম প্রকাশ করে দিলেন ঊর্মিলা। যদিও ঊর্মিলার ওই ভিডিয়ো নকল বলে দাবি করেন প্রাক্তন বিধায়ক সুরেশ রাঠৌর। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে দুষ্মন্তের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় এখন বিজেপি তাঁকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে বলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। দলের এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, ‘এখন স্পষ্ট যে অঙ্কিতার উপরে যে ভিআইপিকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তিনি আর কেউ নন, নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম কাছের নেতা দুষ্মন্ত গৌতম। এর পরে কি নরেন্দ্র মোদী কাছের ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন? না কি পাপকে লুকিয়ে ফেলতে সাহায্য করবেন?’ এ বিষয়ে অবিলম্বে কোনও কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। অঙ্কিতার মা-ও তদন্তের স্বার্থে ঊর্মিলার কাছে থাকা যাবতীয় তথ্য আদালতের কাছে জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। যাতে বিজেপির ওই নেতার ভূমিকা খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়। এ দিকে, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলে সরব দুষ্মন্ত। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু অপরাধী চক্রান্ত করে একটি ভুয়ো অডিয়ো বানিয়ে তা মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murder Case Ankita Bhandari Uttarakhand BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy